অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কিভাবে সামাজিক মাধ্যম টিগ্রায় লড়াইয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হলো


ইথিওপিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনী ও টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(TPLF )'র যুদ্ধে
ব্যবহৃত ক্ষতিগ্রস্ত একটি ট্যাংক হুমায়রা শহরতলিতে পরিত্যক্ত অবস্থায়, ফাইল ছবি ১লা জুলাই, ২০২১/রয়টার্স
ইথিওপিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনী ও টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(TPLF )'র যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষতিগ্রস্ত একটি ট্যাংক হুমায়রা শহরতলিতে পরিত্যক্ত অবস্থায়, ফাইল ছবি ১লা জুলাই, ২০২১/রয়টার্স

ইথিওপিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনী ও টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(TPLF )এর মধ্যে ২০২০ সালের নভেম্বরে যুদ্ধ শুরু হলে, অনলাইনে দ্রুত আরো একটি ফ্রন্ট খুলে যায়, যেখানে দুটি পক্ষই নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলে ধরতে শুরু করেI

সামাজিক মাধ্যম তখন এক যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নেয়, একদিকে ইথিওপিয়া সরকার ও তাঁরসমর্থকেরা অন্যদিকে বিরোধী টিগ্রায়-এর সক্রিয়বাদী ও তাদের সমর্থকেরানিজ নিজ দাবি তুলে ধরেনI মিডিয়া ম্যানিপুলেশন কেইসবুক অনুযায়ী দুটি পক্ষই তাদের বক্তব্য ইংরেজি ভাষাভাষী জনগণের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নেন I

মিডিয়া ম্যানিপুলেশন কেইসবুকটি প্রতিষ্ঠা করেছেন হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের শরেনস্টাইন সেন্টারের টেকনোলজি এবং সোশ্যাল চেঞ্জ প্রকল্প, যে কেইসবুক গ্ৰুপটি সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে টিগ্রায় সম্পর্কিত তথ্যের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেI

টিগ্রায়-এর পক্ষটি মূলত সংঘাতের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে, অন্যদিকে আদিস আবাবায় প্রধানমন্ত্রী আবী আহমেদের প্রশাসনের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের দাবি প্রত্যাহারের প্রতি জোর দিয়েছেনI উভয় পক্ষইবিভ্রান্তিকর ও মাঝেমধ্যে মিথ্যা দাবি দাবি তুলছে I

মিডিয়া ম্যানিপুলেশন কেইসবুকের গবেষণা অনুযায়ী 'এটি একটি জটিল বিষয়, যা আফ্রিকা শৃঙ্গের ভূ-অর্থনীতি, ঐতিহাসিকআঘাত, সক্রিয়বাদ, অপতথ্য, প্ল্যাটফর্মের কৌশলগত ব্যবহার, অপপ্রচার, ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। আর সেটা করে অব্যাহত গৃহযুদ্ধের মধ্যে'।

সংঘাত শুরু হলে টিগ্রায়-এর সক্রিয়বাদীরা টুইটারের আশ্রয় নেন এবং অলাভজনক প্রবক্তা গ্ৰুপ, StandWithTigray আত্মপ্রকাশ করেI অন্যদিকে সরকারপন্থী গ্ৰুপ যেমন, ইথিওপিয়া স্টেট অব ইমার্জেন্সি ফ্যাক্ট চেক TPLF 'র অপতথ্যের বিরোধিতা করে এবং প্রায়শই বিদেশী ও স্থানীয় খবরের বিরুদ্ধে কথা বলেI

XS
SM
MD
LG