একজন বিশ্লেষক বলছেন , মনে করা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তরপুর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করছে তবে নিজেদের বিবেচনায় এ ব্যাপারে কিছু সীমারেখাও টেনে দিয়েছে। তারা বলছে যে এই আক্রমণ যেন সিরিয়া অঞ্চলে তুরস্কের স্থায়ী দখলে পরিণত না হয়।
তুরস্কের এই আক্রমণ অভিযানকে ক্রেমলিন মেনে নেয়ার পরিবর্তে এ রকম প্রত্যাশাও রয়েছে যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মস্কোর পরিকল্পনা মেনে নেবেন। আর তা হচ্ছে রাশিয়ার মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ গোটা সিরিয়ায় নিজের নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপন করবেন।
সিরিয়ার সীমান্ত শহর তেল আবিয়াদ ও রাস আল আইন এবং উত্তর পুর্বাঞ্চলীয় সিরিয়ায় কুর্দিদের কার্যত রাজধানী কামিশলিতে কুর্দি অবস্থানগুলোতে তুরস্ক তার আক্রমণ অভিযান শুরু করার আগে রাশিয়া ও তুরস্কের নেতারা ফোনে আলাপ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং এরদোয়ানের মধ্যে ফোনালাপের অনুলিপি ছিল সংক্ষিপ্ত এবং তাতে এ রকম আভাষ পাওয়া যায় যে এই পর্যায়ে আংকারা সরকারের ইচ্ছে দরকষাকষির বাইরে থাকা। কর্মকর্তারা বলছেন যে এরদোয়ান পুতিনকে বলেছেন যে তাঁর এই অভিযান সে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে এবং শান্তি প্রক্রিয়ার পথ উন্মোচিত করবে। রাশিয়া আট বছর ব্যাপী এ্ই সংঘাতের নিস্পত্তি করতে এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।