ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য নতুন শ্রম বাজার তৈরি হচ্ছে। জেগে উঠেছে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের গত মাসে রোমানিয়া সফরের সময় বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
বিদেশে শ্রম শক্তি পাঠানো নিয়ে বাংলাদেশ বিপাকে রয়েছে। করোনা মহামারীতে গত দুই বছরে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে ফিরেছে। তারা আর যেতে পারেনি। মালয়েশিয়া শ্রম বাজারের দরজা এখনো খোলেনি। এই কারণে রোমানিয়ায় নতুন শ্রমবাজার আশার আলো তৈরি করেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো রোমানিয়ায় জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল নয়। সাধারণ শ্রমিকরা ৬০০ থেকে ১ হাজর ইউএস ডলার বেতন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের ৯২ হাজার বর্গমাইলের দেশটিতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বাস। কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, নির্মাণশিল্প,কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রনিকস, ফুড, জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে প্রচুর শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে এখন।
উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ রোমানিয়া
জানা গেছে, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গত ১৪ অক্টোবরের এক পত্রে দেখা যায়, রোমানিয়ার একটি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানিতে ৬০ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রোমানিয়ায় অবস্থানরত এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপের সিইও লোকমান শাহ বলেন, গত শনিবার একটি ফ্লাইটে নয়জন বাংলাদেশি কাজের ভিসা নিয়ে রোমানিয়া এসেছে। রবিবার আরও ছয়জনকে ভিসা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৭টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ সপ্তাহে আরও মানুষ আসবে। রোমানিয়ান সরকার পর্যায়ক্রমে ৪০ হাজার কর্মী নেবে বাংলাদেশ থেকে। আমরা দেশটির জাহাজ নির্মাণ ও ইমারত নির্মাণ শিল্পে ৫ হাজার কর্মী পাঠানোর চিন্তা করছি।
এ ব্যাপারে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুনীরুছ সালেহীন বলেন, রোমানিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা তৈরি হওয়াটা সুখবর। দেশটি থেকে অনেকে অবৈধভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। এটা বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য চ্যালেঞ্জ। বৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক।