রজার এসপিনোজা - নাম শুনেই হয়তো বুঝতে পারছেন, ইংরেজী ভাষী নয়, স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে এমন কেউ হবেন। ঠিক তাই রজারের জন্ম হ্নডুরাসে। বড় হয়েছেন পোর্টো কোর্টেসে, হ্নডুরাসের আটলান্টিক উপকুলে। তারপর মা বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। কিশোর বয়স থেকে কলোরাডো রাজ্যের ডেনভারে কাটিয়েছে, হাইস্কুলের পড়া শেষ করেছেন সেখানেই। কলেজ জীবনের শুরু আরিজোনা রাজ্যে। তবে এখনও তার পরিবারের সবাই থাকেন ডেনভারে।
রজার এসপিনোজা ফুটবল খেলে নাম করেছেন, সেই খেলার স্কলারশিপ নিয়েই ওহায়ও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। তারপর ২০০৮ সালে মেজর লীগে খেলার সুযোগ এলো। প্রথম দফাতেই তাকে বেছে নিল ‘ক্যানসাস সিটি উইজার্ড’ দল। তারপর থেকে নিয়মিত মেজর লীগে খেলেছেন তিনি।
কিন্তু বিশ্বকাপে খেলার ডাক যখন নতুন আশার সঞ্চার করলো, মধ্যমাঠের তুখোড় ফুটবলার রজার তখন বিরাট এক সিদ্ধান্ত নিল। বেশ কিছুদিন থেকেই হ্নডুরাসের জাতীয় দলের নজর ছিল রাজরের প্রতি। গত বছরের গোড়ার দিকে সে হ্নডুরাসের জাতীয় দল – ‘ক্যাটরাচোসে’র হয়ে প্রথম মাঠে নামে। এবং মধ্য আমেরিকান চ্যাম্পিয়ানশীপ ফুটবলে তার দলের হয়ে প্রথম গোলটি করে। তার জন্য দারুণ এক গৌরবোজ্জবল ঘটনা ছিল সেটি ।
রজার জানালেন – “আমার জন্ম সে দেশে। সেখানকার সংস্কৃতি আমার রক্তে মিশে আছে, তবে সেইসঙ্গে আমেরিকান সংস্কৃতিও আমার অঙ্গে জড়ানো। মনে মনে ভাবলাম – আমার হন্ডুরাস দলেই খেলা উচিত। সে দেশের মানুষ – সংস্কৃতি সবকিছুই আমার নিজের মনে হয়।
এবার হ্নডুরাসের সাফল্যের আশা দিগন্ত প্রসারিত, আর সেই দলে মিডফিল্ডার - রজার এসপিনোজা।