বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বা জি-স্কপ চলমান লকডাউনের মধ্যে কারখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা না করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জি-স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াজেদ এবং কামরুল আহসান এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেছেন গার্মেন্টস মালিকরা অতীতের মত এবারও নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন। তারা উৎপাদন এবং রপ্তানির প্রয়োজন দেখিয়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পরিবহনের ব্যবস্থা এবং কারখানায় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন এই শর্তে লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখার অনুমতি নিয়েছেন বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় বাস্তবে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা না করে কারখানা খোলা রাখায় সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই শ্রমিকরা পরিবহন সংকটে ব্যাপক ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ সম্পর্কিত সচিত্র খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারের বিষয়টিকে তাঁদের বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া এবং সরকারের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় অর্ধ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের সমর্থন পাওয়ার পরও শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ কাম্য নয় । বিবৃতিতে অবিলম্বে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকেদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসানের কাছে শ্রমিকদের জন্য মালিকদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পরিবহনের ব্যবস্থা না করার অভিযোগের বিষয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার তরফে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন বেশীরভাগ শ্রমিকই কারখানাগুলোর সন্নিকটে থাকেন যারা হেটেই কর্মস্থলে আসেন। তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের চাকুরীর নিরাপত্তা এতটাই ঠুনকো যে কারখানায় না আসলে ছাটাই হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে এবং অতীতের ইতিহাস তাই বলে।