ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে টাইফুন দূর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে তবে ঘূর্ণী ঝড় হায়ান আঘাত হানার ৫ দিন পর সেখানে খাদ্য এবং আশ্রয়ের অভাব ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।
মানুষকে বেপরোয়া হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে, বুধবার বিপুল সংখ্যক মানুষ সরকারী একটি চালের গুদামে অতর্কিত হামলা চালালে গুদামটি ভেংগে ৮ জন নিহত হয়।
ঐ ঘটনাটি ঘটে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ শহর টাকলোবানের কাছে যে শহরটি প্রায় মাটির সংগে মিশে গিয়েছে। কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, টাইফুনে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ২৭৫ তবে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে উদ্বেগ রয়েছে কারন প্রত্যন্ত অনেক এলাকায় এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ওদিকে পোলান্ডে চলছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন। সেখানে ফিলিপাইনের প্রতিনিধিরা গ্রীন হাউজ গ্যাসের নিঃস্মরণ কমিয়ে আনা সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন । বিজ্ঞানী বব ওয়ার্ড বলেন প্রতিনিধিদের নিবিড় ভাবে এই বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা যদি গ্যাস কমানোর ব্যপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছুতে দেরী করি এবং এনিয়ে তর্ক-বির্তক চালিয়ে যাই তা হলে উপকূল এলাকায় যেখানে মানুষ বসবাস করে সেখানে এই ধরনের বিপর্যয় হতে আরও দেখব।
তবে ওয়ারসো আলোচনায় অংশ গ্রহনকারীরা বলেন, গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃস্মরণ কমানোর চুক্তি হতে এখনও দীর্ঘ পথ বাকি।