কিউবা জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড় বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যায়,একজন হোটেলের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালায়, এমনি ছিল বেসবল দলের চিত্রI এই দলের ২৬জন সদস্য মেক্সিকোতে যান অনূর্ধ ২৩ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে, কিন্তু দলের মাত্র অর্ধেক সদস্য স্বদেশে ফিরে যানI
এ বছর কমিউনিস্ট শাসিত দ্বীপ দেশটি থেকে রেকর্ড সংখ্যক খেলোয়াড় দেশ ত্যাগ করেছেন, যে দেশটি ৩০ বছরে সবচাইতে বিপর্যয়কারী অর্থনৈতিক সঙ্কটে এখন জর্জরিতI
ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্রান্সেস রোমেরো যিনি এই সঙ্কট নিয়ে একটি বই লিখেছেন,এ এফ পি-কে বলেন, বেসবলের ইতিহাসে এই গণ দেশত্যাগ ছিল অভাবনীয়I
যে খেলোয়াড় হোটেলের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েছিলেন, তিনি সাংবাদিক রোমেরোকে জানান, অপেক্ষমান একটি গাড়িতে উঠতে তিনি পাম গাছ বেয়ে নিচে নেমে আসেনI
কিউবান খেলোয়াড়দের জন্মভূমি ছেড়ে চলে যাওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়I ফিদেল ক্যাস্ট্রো কতৃক পরিচালিত অভ্যুথানের পর, পেশাধারী খেলা বাতিল হয়ে গেলে অনেক খেলোয়াড় উন্নত সুযোগের খোঁজে বিদেশে পাড়ি জমানI
শীতল যুদ্ধের সময় কম সংখ্যায় দেশত্যাগের পর, ১৯৯০ সালের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশত্যাগের ঘটনা বৃদ্ধি পায়I
উন্নত পেশার খোঁজে ১৯৯১ সালে রেনে আরোচা মায়ামি বিমানবন্দরে তাদের জাতীয় দল পরিত্যাগ করার পর, বছরে এক থেকে দুজন খেলোয়াড় দেশ ছেড়ে চলে যানI ১৯৯৬ সালে ৯ জন জাহাজ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান, যেসব খেলোয়াড়দের এখনো বিশ্বাসঘাতক বলে গণ্য করা হয়I
এদের অনেকেই আবার বৈধভাবে দেশ ত্যাগ করেছেনI ২০১৩ সালের অভিবাসন নীতিতে সংস্কারের পর বিকল্প দেয়া হলে তা সম্ভব হয়, আবার করোনা ভাইরাসের কারণে বিমান ফ্লাইট অনেকসীমিত করা হলে সেই সংখ্যাও কমে যায়