হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসকে হত্যার পর গতকাল বুধবার রাজধানী পোর্ট-অউ-প্রিন্সের রাস্তাঘাটগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল, অধিকাংশ লোকজন বাড়ির ভেতরে ছিলেন এবং প্রধান রাস্তাগুলোতে পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি দেখা গেছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সশস্ত্র প্রহরীরা অবস্থান গ্রহণ করে। হাইতির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ দেশটিতে অবরোধ অবস্থা ঘোষণা করেন এবং বলেন তিনি সে দেশের দায়িত্বে রয়েছেন। হাইতির কর্মকর্তারা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাদক বিরোধী সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তারা প্রেসিডেন্টের উপর সমন্বিত ভাবে আক্রমণ চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে। এই লোকেরা স্পানিশ এবং ইংরেজি ভাষায় কথা বলছিল। বুধবার রাতে জাতীয় পুলিশ বাহিনীর প্রধান লিওন চার্লস সংবাদাতাদের বলেন চারজন “ভাড়াটে সৈন্য” যাদের ময়েসের হত্যকারি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তারা পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এবং আরও দু জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।
এ দিকে এই হত্যাকান্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তীব্র নিন্দে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব , যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেস বলেন , “ আমি প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসের হত্যাকান্ডের নিন্দে জানাচ্ছি । এই অপরাধ যারা করেছে তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। জাতিসংঘ হাইতির সরকার এবং জনগণের সঙ্গেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন , “ আমরা হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসর নৃশংস হত্যা এবং ফার্স্ট লেডি মার্টিন ময়েসের উপর আক্রমণে মর্মাহত । আমরা এই ঘৃণ্য কাজের নিন্দে করছি এবং দেশটিকে একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্য সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।