আমরা সকলেই জানি যে প্রায় অপ্রত্যাশিত ভাবেই ৫ই জুন মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন, কাতারকে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের অভিযোগে, দেশটির সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আর এই আরব দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দেয় ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপও।
গত মাসের এক খবরে বলা হয় যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি, ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈরীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, যা কীনা কাতার বার্তা সংস্থার ওয়েব সাইটে পোস্ট করা হয়। তবে কাতার এই খবর অস্বীকার করছে, বলছে সে সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে, এটাও বলা হচ্ছে যে কাতার ঐ অঞ্চলে কথিত ইসলাম পন্থিদের সমর্থন করে থাকে বিশেষ করে সুন্নি ইসলামের রাজনৈতিক গোষ্ঠি মুসলিম ব্রাদারহুড, যা কীনা সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে, তাদের সমর্থন করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আইসিস এবং আলকায়দাকেও সমর্থনের অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি জটিল, কারণ একদিকে শিয়া ইরানের সঙ্গে যোগ সাজশের অভিযোগ উঠছে, অন্যদিকে কট্টর সুন্নি উগ্রবাদীদের সঙ্গেও সম্পর্কের কথা উঠছে। এরই মধ্যে ইরানে উগ্রবাদী হামলা হয়েছে, যার দায় স্বীকার করছে আই এস। কাজেই কাতারের এই সংকট গোটা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে জটিল করে তুলেছে।
আজকে শ্রোতাদের জিজ্ঞাসা এবং আমাদের অতিথি প্যানেলিস্টদের জবাবের মাধ্যমেই আমরা জেনে নেবো সমস্যার স্বরূপ। টেলিসম্মিলনী লাইনে রয়েছেন ঢাকা থেকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। রয়েছেন কোলকাতা থেকে মাওলানা আবুল কালাম ইনিস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো, অধ্যাপক অমিয় চৌধুরী। আরও আছেন অ্যাটলান্টা থেকে আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ সিকিউরিটি এন্ড গ্লোবাল স্টাডিজের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি ড. সাঈদ ইফতিখার আহমেদ Adjunct Faculty in the School of Security and Global Studies at American Public University System . আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন আনিস আহমেদ।