নয়া দিল্লি শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের সম্পর্কের ওপর জোর দিলেন। নয়া দিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল--দেশ দুটির মধ্যে স্থবির হওয়া সম্পর্ককে পুনরুদ্ধার করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এবং চীনের সঙ্গে রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
রাশিয়ার নেতা সোমবার ভারতকে "একটি বৃহৎ শক্তি, বন্ধুত্বপূর্ণ জাতি এবং সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে মোদি বলেন, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণের উত্থান সত্ত্বেও "ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী"।
পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরী করা সত্ত্বেও দৃঢ় প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক বজায় থাকার মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে থাকা দৃঢ় প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব স্নায়ুযুদ্ধের বছরগুলো পর্যন্ত দীর্ঘ।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে নয়া দিল্লি তার প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কেনার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এনেছে। তবে রাশিয়া এখনও ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। ভারতের সামরিক সরঞ্জামের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি রাশিয়ার তৈরী।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সঙ্গে আলোচনায় শীর্ষ এজেন্ডা ছিল প্রতিরক্ষা সম্পর্ক। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহবান জানান।
দেশ দুটির মধ্যে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তার মধ্যে একটি হলো-- রাশিয়া থেকে ভারত ৬ লাখের বেশি একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল কিনবে এবং তাদের সামরিক প্রযুক্তি সহযোগিতা পরবর্তী দশকেও সম্প্রসারিত করার জন্য আরেকটি চুক্তি হয়েছে।