অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনাভাইরাস সংক্রমণে অবহেলার জন্য কিম জং উন সতর্ক করলেন দলের কর্মকর্তাদের


File picture
File picture

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলছেন, “একটি মারাত্মক ঘটনা” তাঁর দেশের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পিয়ংইয়ং সরকারের তরফ থেকে  এ হচ্ছে এক ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি যারা নিজেদের কভিড-১৯ মুক্ত বলে দাবি করে থাকে। রাষ্ট্র পরিচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বুধবার জানিয়েছে  শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর এক বৈঠকে কিম করোনাভাইরাস মহামারি সম্পর্কে অনির্দিষ্ট অবজ্ঞা প্রদর্শনের জন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলছেন, “একটি মারাত্মক ঘটনা” তাঁর দেশের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পিয়ংইয়ং সরকারের তরফ থেকে এ হচ্ছে এক ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি যারা নিজেদের কভিড-১৯ মুক্ত বলে দাবি করে থাকে। রাষ্ট্র পরিচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বুধবার জানিয়েছে শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর এক বৈঠকে কিম করোনাভাইরাস মহামারি সম্পর্কে অনির্দিষ্ট অবজ্ঞা প্রদর্শনের জন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন। কেসিএনএ বলছে কর্মকর্তারা , “মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটিয়েছেন যার ফলে দেশ এবং জনগণের নিরাপত্তা বিরাট এক হুমকির সম্মুখীন”।

তবে ঐ প্রতিবেদনে ঐ “মারাত্মক দূর্ঘটনা” সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি এবং এটাও জানানো হয়নি যে এই ঘটনা কি ভাবে হুমকি কারণ হলো। উত্তর কোরিয়া বার বার বলে আসছে যে সেখানে কভিড-১৯ ‘এ সংক্রমণের কোন ঘটনাই ঘটেনি । এই দাবির সঙ্গে বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ব্যাপক ভাবে দ্বিমত প্রকাশ করে একে প্রায় অসম্ভব দাবি বলে উল্লেখ করেছেন। এটা এখনও পরিস্কার নয় যে বুধবার এই ব্যর্থতার স্বীকৃতি কি ভাইরাসের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন ব্যাপক পরিবর্তন না কি সেটা অন্য কোন অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার অজুহাত কে্বল।

কেসিএনএ জানিয়েছে যে পলিটব্যুরোর বৈঠকে অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের অপসারিত করা হয় তবে তারা এটা জানায়নি যে এই পদক্ষেপ করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট কারণে কী না। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই উত্তর কোরিয়া তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে , অভ্যন্তরীণ চলাচলের উপর বিধিনিষেধ জারি করেছে এবং তার অর্থনৈতিক জীবন রক্ষাকারী চীনের সঙ্গে প্রায় সব বানিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় এই রোগ সংক্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে কারণ দেশের বেশির ভাগ এলাকাই অত্যন্ত দরিদ্র এবং সেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যার অভাব রয়েছে।

XS
SM
MD
LG