উত্তর কোরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি মালবাহী ট্রেন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) চীনে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তে লকডাউন ঘোষণার এই প্রথম দেশটি থেকে কোনো যানবাহন স্থলপথে অন্য কোনো দেশের সিমান্তে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
উত্তর কোরিয়া এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কোভিড শনাক্তের কথা স্বীকার করেনি। দেশটির সরকার কোভিড নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধও আরোপ করেছে। ২০২০ সালের এই বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা এবং দেশের ভেতরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা।
একাধিক সুত্রের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ বলেছে, মালবাহী ট্রেনটি রবিবার ইয়ালু নদী পার হয়ে চীনের ডানডং শহরে পৌঁছায়।ইয়োনহাপ আরও জানায়, কোভিড সংক্রমণের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের সঙ্গে তার সীমানা খুলে দিয়েছে।
ট্রেনটি কোনো মালামাল পরিবহণ করছিল কিনা তা স্পষ্ট করে জানা না গেলেও ইয়োনহাপ জানায়, সেটি সোমবার ‘জরুরি রসদ’ নিয়ে দেশে ফিরবে। জরুরি রসদ বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেনি ইয়োনহাপ।
জাপানের কিয়োডো সংবাদমাধ্যমও উত্তর কোরিয়া থেকে চীনের একটি শহরে মালবাহী ট্রেন পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছে।
চীনের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, করোনাকালে উত্তর কোরিয়ার সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে অল্প কিছু বাণিজ্যচালু থাকলেও স্থলপথে ট্রেন পরিসেবা বন্ধ ছিল।
সিউলের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিগত বছরের শেষ দিকেই উত্তর কোরিয়ার কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে কিনা জানতে আন্তঃসীমান্তে ট্রেন চলাচলের উপর নজর রাখছিলেন তারা।
দুই বছর সীমান্ত বন্ধ থাকার পর দেশটিতে ধীরে ধীরে কিছু মানবিক সাহায্য প্রবেশ করছে। যদিও অতি জরুরি পণ্য যেমন খাদ্য সহযোগিতা পাঠানো এখনও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা।
ন্যাম্পো সমুদ্র বন্দরে তিন মাস কোয়ারান্টাইনে রাখার পর পুষ্টি এবং মেডিকেল সাহায্যের কয়েকটিচালান প্রবেশের অনুমতি পেলেও এখন পর্যন্ত রেলপথে বড় কোনো চালান প্রবেশের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
(রয়টার্স)