অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শোকার্ত মানুষ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী মহানায়ক টুটুর প্রতি জানালেন শ্রদ্ধা


 সেন্ট জর্জ’স ক্যাথেড্রালে আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুর মরদেহ বহন করা হচ্ছে ।
৩০শে ডিসেম্বর ২০২১
সেন্ট জর্জ’স ক্যাথেড্রালে আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুর মরদেহ বহন করা হচ্ছে । ৩০শে ডিসেম্বর ২০২১

বৃহষ্পতিবার শত শত শোকার্ত মানুষ সারিবদ্ধ ভাবে কেপ টাউনে সেন্ট জর্জ’স ক্যাথেড্রালে আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুর মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বর্ণবাদবিরোধী এই মহান ব্যক্তি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য রাখতেন।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী টুটুকে তাঁর নৈতিক দৃঢ়তা এবং শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের শাসনের বিরুদ্ধে তাঁর নীতিগত লড়াইয়ের জন্য তাঁকে বর্ণগত ও সাংস্কৃতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে সকলেই শ্রদ্ধা করেন। তিনি রবিবার ৯০ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।

তাঁর মৃত্যু দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এক বিরাট ক্ষতি যেখানে অনেকেই তাঁকে “টাটা” – বাবা হিসেবেই সম্বোধন করতো। রবিবার থেকে প্রতিদিন তাঁর সম্মানে গির্জার ঘন্টা বাজানো হচ্ছে এবং সমগ্র বিশ্ব থেকে তার জন্য প্রার্থনা এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হচ্ছে ।

বৃহষ্পতি ও শুক্রবার টুটুর মরদেহ এই গির্জায় থাকবে এবং শনিবার তাঁর আত্মার জন্য প্রার্থনা করা হবে যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোজা তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

টুটু সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ শাসনের প্রতি তার অহিংস বিরোধীতার জন্য ১৯৮৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এক দশক পরে তিনি নিজেই দেখলেন সেই শাসনের অবসান ঘটতে এবং সেই সময়ে রাষ্ট্রের উদ্যোগে সংঘটিত নির্যাতন প্রকাশ করতে সহায়তা করার লক্ষ্য তিনি ট্রুথ এন্ড রিকনসিলিয়াশন কমিশনের সভাপতিত্ব করেন।

গির্জার বাইরে লাইনে দাঁড়ানো তার সহযোগী, বর্ণবাদ-বিরোধী কর্মী ক্রিস নিসেন বলেন, “ তিনি সব সময়ই নীরব মানুষের কন্ঠস্বর ছিলেন এবং সব সময়ে যুক্তির কন্ঠস্বর ছিলেন।

টুটু মৃত্যুর আগে অনুরোধ করেছিলেন তাকে যেন অত্যন্ত সস্তা কফিনে শোয়ানো হয় এবং তিনি কোন ব্যয়বহুল শেষ কৃত্যানুষ্ঠান ও চাননি।

XS
SM
MD
LG