অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মালয়েশিয়ায় বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪৬ 


মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে হুলু লাঙ্গাতে বন্যা প্লাবিত ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছেন বাড়ির মালিকেরা, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২১, ছবি/ভিন্সেন্ট থিয়ান/এপি
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে হুলু লাঙ্গাতে বন্যা প্লাবিত ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছেন বাড়ির মালিকেরা, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২১, ছবি/ভিন্সেন্ট থিয়ান/এপি

মালয়েশিয়ার বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর বন্যায় শনিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ ‘এ এবং এখনও পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে নদীগুলোর পানি উপচে গত সপ্তাহের শেষে কয়েকটি শহরকে প্লাবিত করে এবং প্রধান সড়কগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সেলাঙ্গা রাজ্য, যার অবস্থান রাজধানী কুয়ালালামপুর ঘিরে এবং এটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল এবং ধনী রাজ্য।

একটি বিশৃঙ্খল উদ্ধার অভিযানে নৌকার মাধ্যমে উদ্ধারের আগ পর্যন্ত বন্যাদূর্গত সেলাঙ্গার রাজধানী শাহ আলম এর অনেকেই কয়েকদিন ধরে প্রায় কোন খাবার ছাড়াই নিজেদের বাসায় আটকা পড়েছিলেন।

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল আকরিল সানি আবদুল্লাহ সানি বলেন যে, আরও নতুন লাশ উদ্ধারের সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ এপৌঁছেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় সেলাঙ্গা এবং পাহাং রাজ্যে।

তিনি আরও বলেন যে এখনও সাতটি রাজ্যের ৩০০ টিরও বেশি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫৪,৫৩২ জন বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছেন এবং ৬৮ টি রাস্তা বন্যার কারণে এখনও বন্ধ রয়েছে।

বন্যার উদ্ধারকাজ বেশ সমালোচিত হওয়ায় বিরোধী দলীয় নেতা, আনোয়ার ইব্রাহিম ইতিপূর্বেই সরকারের প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রকাশ্য তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন যে সরকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং সামরিক বাহিনীকে দেরীতে নিয়োজিত করার ফলে “প্রাকৃতিক দূর্যোগের উদ্ধার কাজটি মানবিক, ব্যবস্থাপনার বিপর্যয়ে পরিনত হয়েছে”।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল ইয়াকুব “দূর্বলতার” বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে তার উন্নতিসাধনের অঙ্গীকার করেছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি প্রতিবছরই নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বর্ষাকালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু গত সপ্তাহান্তের বন্যাটি ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুতর ছিল।

XS
SM
MD
LG