দুই কোরিয়ার দূতাবাস বলে কার্যত খ্যাত ভবনটি উড়িয়ে দেয়ার পর, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের উপর সামরিক চাপ বৃদ্ধি করছে ।তারা ঘোষণা করেছে সীমান্তে তারা আবার তাদের সৈন্য মোতায়েন করছে এবং এই উত্তেজনা হ্রাসের জন্য দূত পাঠানোর ব্যাপারে সোওল সরকারের প্রস্তাব ক্ষুব্ধ হয়েই নাকচ করে দিয়েছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে, কোরিয়ান পিপলস আর্মির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে আজ উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী মাউন্ট কুমগাংগ রিসোর্ট এলাকা এবং কায়সং শিল্প এলাকার কাছের জায়গায় পুনঃপ্রবেশ করছে। ঐ সংবাদ সংস্থার খবরে আরও বলা হয়েছে যে আগে যে প্রহরীদের চৌকি বসানো ছিল সেটি আবার সীমান্তে মোতায়েন করা হবে এবং উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমুদ্র সীমান্তে সব ধরণের নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে যাবে।
গত সপ্তায় উত্তর কোরিয়া যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার সঙ্গে ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ঊন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন এর মধ্যকার ঐতিহাসিক বৈঠকে অর্জিত অনেক সাফল্যই নষ্ট হয়ে গেল। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক দিয়ে, সীমান্তের উত্তরে দুই কোরিয়ার মধ্যকার যোগাযোগ কেন্দ্রটি ভেঙ্গে ফেলে । পিয়ংইয়ং সরকার বলছে যে তারা সোওলের সঙ্গে সরকারী ভাবে সব রকম সংলাপ বন্ধ করে দেবে। তারা এটিকে প্রথম পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে এবং বলছে দক্ষিণের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের উপর ক্ষিপ্ত প্রধানত এই কারণে যে দক্ষিণ কোরিয়া দল ত্যাগি এবং অন্যান্য যারা পিয়ংইয়ং সরকারের বিরুদ্ধে সীমান্তের ওপার থেকে প্রচারপত্র বিলি করছে, তাদেরকে থামানোর কোন পদক্ষেপ দক্ষিণ নিচ্ছে না।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরিয়ার অভিযোগগুলোকে অবাস্তব বলেছেন । তিনি বলেন যে এর ফলে আমাদের নেতাদের মধ্যে যে আস্থা তৈরি হয়েছিল তা নষ্ট হচ্ছে এবং আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি যে আমরা এই সব অযৌক্তিক বক্তব্য এবং কর্মকান্ড মেনে নেবো না।