ছিলেন অভিনেতা, হলেন বিজেপি নেতা। সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে আজ সকালে কলকাতা পুলিশ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেরা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ৭ই মার্চ কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল জনসভায় যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তাতে সহিংসতা প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। ওই রকম প্ররোচনামূলক কথাবার্তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচন-উত্তর সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কী বলেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী? তাঁর জনপ্রিয় ফিল্ম 'অভিমন্যু' থেকে সংলাপ ধার করে বলেছিলেন, "আমি জলঢোঁড়া নই, বেলেবোড়াও নই। আমি হলাম, কোবরা! গোখরো সাপ। এক ছোবলে ছবি।"
এ ছাড়া 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট' ছবির প্রচন্ড জনপ্রিয় ডায়লগ "মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে".. সেটাও বলেছিলেন এবং জনসভায় উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকেরা বিপুল হাততালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতায় থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে খবর পেয়ে মিঠুন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। জানান, তিনি যা বলেছেন, সবই ফিল্মি ডায়লগ। দর্শকরা তাঁর কাছ থেকে বারবার ওই সব কথা শুনতে চায়। এর সঙ্গে সহিংসতা প্ররোচনা দেওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই। কাজেই ওই অভিযোগ আদালত খারিজ করে দিক। কলকাতা হাইকোর্ট মিঠুনকে পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করতে। তবে যে হেতু মিঠুন এখন কলকাতা থেকে অনেক দূরে থাকেন, এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের পুনেতে আছেন, তিনি ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিতে পারেন। সশরীরে উপস্থিত থাকার দরকার নেই। সেই অনুযায়ী আজ সকাল দশটার পর পুলিশের অফিসাররা ভিডিও কল করে মিঠুনকে জেরা করেন। মিনিট পঁয়তাল্লিশ ধরে তাঁদের কথা চলে।
একসময় সিপিএমের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন মিঠুন। তার পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠান। কিন্তু সেই পদ মিঠুন ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার হঠাৎই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।