আলমাটি — কাজাখস্তানে গত সপ্তাহের সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৯জন সদস্য রয়েছে। নিহতদের মরদেহ, সারা দেশে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে শনিবার প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে।
প্রসিকিউটর কার্যালয়ের ফৌজদারি মামলার প্রধান সেরিক শালাবায়েভ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এই সংখ্যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র "দুর্বৃত্তরা" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি এই পরিসংখ্যানের সঠিক কোনো বিভাজন না করে বলেন, সংখ্যাগুলো পরে হাল নাগাদ করা হতে পারে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। সোভিয়েত-পরবর্তী ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক সহিংসতা বলে জানিয়েছেন শালাবায়েভ।
শালাবায়েভ বলেন, ৫০ হাজার মানুষ মানুষ প্রাক্তন এই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র জুড়ে দাঙ্গায় যোগ দিয়েছিল।সর্বোচ্চ জমায়েতটি ছিল গত ৫ জানুয়ারি। ওইদিন উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি বড় শহরে সরকারি ভবন, গাড়ি, ব্যাংক ও দোকানে হামলা করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ চলমান অস্থিরতা নিরসনে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের সাহায্য চান। এছাড়া তিনি তার প্রাক্তন পৃষ্ঠপোষক ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের কাছ থেকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব নিজের হাতে নেন।
পরে আটককৃতদের মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়ার পর, টোকায়েভ শনিবার পুলিশকে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে এবং যারা গুরুতর অপরাধ করেননি, তাদের প্রতি নম্র হতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি নির্দেশ দেন।