এপ্রিলের প্রথম দিকে এক সন্ধ্যায় , মিয়ান্মারে গভীর জঙ্গলে একজন সাংবাদিক উইন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন অন্ধকার নামার জন্য যখন তিনি সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে পারেন।
রিপোর্টারস উইথাউট বর্ডার এবং হিউমান রাইটস বলছে তিনি হচ্ছেন বহু সাংবাদিকদের মধ্যে একজন যারা ১লা ফেব্রুয়ার মিয়ান্মারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের মুক্ত সাংবাদিকতার উপর আক্রমণ এড়াতে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছেন। উইনের মতোই অধিকাংশ না হলেও অনেকেই বে-আইনি ভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তারা থাই কর্তৃপক্ষ দ্বারা গ্রেপ্তার হবার ভয় করছেন এবং ভয় পাচ্ছেন, তারা ধরা পড়ার পর যদি মিয়ান্মারে পাঠিয়ে দেয়া হয় , তা হ’লে মিয়ান্মারের জান্তা কি করতে পারে। উইন বলছেন, “তারা নিশ্চিত ভাবেই আমাকে নির্যাতন করবে”।
উইনের সংবাদ প্রতিষ্ঠানটিকে সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছে, পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির দপ্তরে হানা দিয়েছে এবং এর কোন কোন সংবাদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিচার করা হচ্ছে। উইন বলেছেন তার নিরাপত্তার কারণেই তার পুরো নাম যেন প্রকাশ করা না হয়। সামরিক জান্তার অভিযানের দিকে লক্ষ্য রাখছে এমন একটি অধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, অভূত্থানের পর প্রতিবাদ এবং শক্ত প্রতিরোধ আন্দোলন দমন করার জন্য মিয়ান্মারের নিরাপত্তা বাহিনী যে হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করেছে , তাদের মধ্যে ৯৮ জন হচ্ছেন সাংবাদিক। মিয়ান্মারের কিছু অংশ সামরিক শাসনের অধীনে থাকায় কোন কোন ব্যক্তিকে গোপন সামরিক আদালতে বিচার করা হচ্ছে।
এ দিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রক সংবাদদাতাদের বলেছে সরকার, “মানবিক সমাধান” বের করবে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো থাই সরকারকে বলছে তাদেরকে যেন মিয়ান্মারে ফেরত পাঠানো না হয়।