জর্দানের প্রধানমন্ত্রী বিশের আল খাসাওনেহ বলছেন তাঁর দেশ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে জর্দান থেকে বহিষ্কার করতে পারে। এর আগে ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে জর্দানের সংসদ এই আহ্বান জানায়। বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এই লড়াই যাতে বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে না যায় তার জন্য নিবিড় কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা আশংকা করছেন যে এই সংকট বৃদ্ধি পেলে আরেক দফা ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা জর্দানে আশ্রয় নিতে পারে।
জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়েরই অধিকার আছে সুরক্ষায় ও নিরাপদে বসবাস করার”। জর্দানের সঙ্গে ইসরাইল ১৯৯৪ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং বহু বছর ধরেই জর্দান ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রিক মর্যাদা পাবার প্রধান সমর্থক । জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি পরিবারদের জোর করে উত্খাত করা এবং গাজায় প্রাণনাশী বোমা হামলার পরিসমাপ্তি ঘটানোর দাবিতে সেখানে বড় আকারের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইসরাইল গাজা ভূখন্ডে আরও বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করে যার ফলে একটি প্যাকেজিং স্থাপনায় দু জন থাই শ্রমিক নিহত হয় এবং আরও সাতজন আহত হয়। ইসরাইলের হামলায় একটি ছ’তলা ভবন মাটির সঙ্গে মিশে যায় । সেখানে বইয়ের দোকান এবং শিক্ষা কেন্দ্র ছিল যা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য কলেজ ব্যবহার করতো ।
১০ই মে এই লড়াই শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত দু শ’র ও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যার মধ্যে ৫৯ জন শিশু এবং ৩৫ জন নারী রয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে । ও দিকে ইসরাইলে ৬ বছরের একটি শিশুসহ কমপক্ষে ৩৫ জন নারী রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। গাজায় কভিড ১৯ পরীক্ষার গবেষণাগার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ অসামরিক অবকাঠামোর উপর ইসরাইলি হামলায় জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।