বৃহস্পতিবার উৎক্ষেপণ করা ইরানের মহাকাশযান নির্দিষ্ট গতি অর্জন করতে না পারায় তাতে বহন করা তিনটি বস্তুকে কক্ষপথে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শুক্রবার প্রচারিত বার্তায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে অস্ট্রিয়াতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলার সময় মহাকাশযান উৎক্ষেপণের এমন প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী এবং ফ্রান্সের সমালোচনার সম্মুখ্খীন হয়েছে।
মুখপাত্র আহমেদ হোসেইনি উৎক্ষেপণের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এবং অনলাইনে পোস্ট করাএকটি ডকুমেন্টারীতে বলেন, “বহন করা কোন বস্তুকে কক্ষপথে প্রবেশ করাতে হলে সেটির গতি ৭,৬০০ [মিটার প্রতি সেকেন্ড] এরও বেশি হতে হবে। আমরা ৭,৩৫০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলাম”।
ইরান, যাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী মধ্যপ্রাচ্যের সর্ববৃহৎগুলোর মধ্যে একটি, বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বেশ কয়েকবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছে।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে যে তারা ইরানের উৎক্ষেপণযোগ্য মহাকাশযান তৈরির বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং জার্মানীর একজন কূটনীতিক বলেন যে বার্লিন ইরানের প্রতি মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী রকেট না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। তিনি আরও বলেনযে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব ভঙ্গ করেছে।
শুক্রবার ফ্রান্স জানায় যে তিনটি গবেষণাযন্ত্র মহাকাশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণটি জাতিসংঘের নিয়ম-বহির্ভূত এবং “আরও অধিক দুঃখজনক” কারণ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গেপরমাণু বিষয়ক আলোচনায় অগ্রগতি সাধিত হচ্ছিল।
ইরান অস্বীকার করে যে তাদের মহাকাশ কর্মসূচীটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা আড়াল করার একটি চেষ্টা, কিংবা তারা জাতিসংঘের প্রস্তাব ভঙ্গ করেছে।
{রয়টার্স}