মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসি সম্প্রতি এক আদেশ বলে সে দেশের সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। এ নিয়ে সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। মি মোরসি অবশ্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর এই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারটা সীমিত থাকবে সার্বভৌম বিষয়গুলোর মধ্যে । এই সার্বভৌম বিষয়ের কোন ব্যাখ্যা মোরসি অবশ্য দেননি । মোরসির এই পদক্ষেপের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট বিশ্লেষক , রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষক , ম্যারিল্যান্ড থেকে ড সাইদ ইফতিখার আহমেদ । ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকার ড আহমদে বলেন যে মোরসির এই একচ্ছত্র ক্ষমতা গ্রহণের পেছনে দু’টি লক্ষ কাজ করছে একটি আশু লক্ষ্য এবং আরেকটি হচ্ছে দূরবর্তী লক্ষ্য। আশু লক্ষ্যটি হচ্ছে যে সংবিধান রচিত হচ্ছে সেই সংবিধানে যাতে মুসলিম ব্রাদারহুডের যে রাজনৈতিক দর্শন , সেই দর্শনটি যাতে সংবিধানে প্রতিফলিত হয় , সেই ব্যবস্থাটি তিনি করেছেন তাঁর হাতে সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আর দূরবর্তী লক্ষ্যটি হচ্ছে , কর্তৃত্ববাদী ধর্মীয় মৌলবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা মিশরে প্রতিষ্ঠা করা।
ড সাইদ ইফতিখার আহমেদ আরও বলেন যে মিশরের পরিস্থিতি কিছুটা ইরানের বিপ্লবের সময়কার পরিস্থিতির মতো। মৌলবাদী শক্তিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে মিশে ছিল। ঐ আন্দোলনটি বিজয়ী হবার পর পর মৌলবাদী শক্তিটি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। তিনি মনে করেন এ সব কারণে পশ্চিমের সঙ্গে মিশরের দূরত্ব বাড়তে পারে এবং এর কারণে ঐ অঞ্চলের শান্তি ব্যাহত হবার আশংকা আছে।
ড সাইদ ইফতিখার আহমেদ আরও বলেন যে মিশরের পরিস্থিতি কিছুটা ইরানের বিপ্লবের সময়কার পরিস্থিতির মতো। মৌলবাদী শক্তিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে মিশে ছিল। ঐ আন্দোলনটি বিজয়ী হবার পর পর মৌলবাদী শক্তিটি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। তিনি মনে করেন এ সব কারণে পশ্চিমের সঙ্গে মিশরের দূরত্ব বাড়তে পারে এবং এর কারণে ঐ অঞ্চলের শান্তি ব্যাহত হবার আশংকা আছে।