১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি সৈন্য তাদের পরাজয়ের একেবারে চূড়ান্ত মূহুর্তে তাদের দেশী দোসরদের সাহায্য দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে গিয়ে বধ্যভূমিতে হত্যা করে। কিন্তু কেবল এই তারিখেই নয় , মুক্তিযুদ্ধচলা কালে গত ন ‘মাস ধরেই যে হত্যাযজ্ঞ চলে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে তার অন্যতম শিকারে পরিণত করা হয় বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের। ২৫শে মার্চের কালরাত্রিতে যে ক জনের ওপর আক্রমণ চালানো হয় তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা। শহীদ এই অধ্যাপকের কন্যা ড মেঘনা গুহঠাকুরতা ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের ওপর তৎকালীন পাকিস্তানি প্রশাসন এবং তাদের দোসরদের এই নিপীড়ন নির্যাতনের কারণ সম্পর্কে বলেন যে তারা বাঙালিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল । তিনি বলেন যে যাঁরাই বাঙালি জাতিত্বে বিশ্বাস করেছে , কিংবা মনুষত্বকে জাগ্রত করেছে অথবা নিজের মানুষের অধিকারের পক্ষে দাবি জানাচ্ছে তাদের প্রতিই পাকিস্তানি সৈন্যদের আক্রোশ ছিল প্রবল। তাদেরকেই নির্মূল করা ছিল পাকিস্তানিদের লক্ষ্য। এমন কী পাকিস্তানি সৈন্যদের পত্র বিনিময়েও লক্ষ্য করা গেছে যে তারা বাঙালি নারীর গর্ভে পাকিস্তানি সন্তান কামনা করেছে।
ড মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন যে তাঁর বাবাকে ঐ কালরাত্রে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তাঁরা জানতেন না , তাঁর বাবাও জানতেন না তবে এটা জানতেন যে কেন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি মনে করেন যে গোটা ন মাস ধরে বাঙালি নিধনের পেছনে একটা নীল নকশা কাজ করেছে। যে জাতিত্ববোধ তৈরি হচ্ছিল তাকে উপড়ে ফেলে দিতে তারা সঙ্কল্পবদ্ধ ছিল। এমন কী পাকিস্তানি সৈন্যদের পত্র বিনিময়েও লক্ষ্য করা গেছে যে তারা বাঙালি নারীর গর্ভে পাকিস্তানি সন্তান কামনা করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ড মেঘনা গুহঠাকুরতা স্বাগত জানিয়েছেন তবে তিনি বলেছেন যে পাকিস্তানিদের ও তাদের কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং যে কোন একটি প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টির নিরসন ঘটা উচিত।
ড মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন যে তাঁর বাবাকে ঐ কালরাত্রে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তাঁরা জানতেন না , তাঁর বাবাও জানতেন না তবে এটা জানতেন যে কেন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি মনে করেন যে গোটা ন মাস ধরে বাঙালি নিধনের পেছনে একটা নীল নকশা কাজ করেছে। যে জাতিত্ববোধ তৈরি হচ্ছিল তাকে উপড়ে ফেলে দিতে তারা সঙ্কল্পবদ্ধ ছিল। এমন কী পাকিস্তানি সৈন্যদের পত্র বিনিময়েও লক্ষ্য করা গেছে যে তারা বাঙালি নারীর গর্ভে পাকিস্তানি সন্তান কামনা করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ড মেঘনা গুহঠাকুরতা স্বাগত জানিয়েছেন তবে তিনি বলেছেন যে পাকিস্তানিদের ও তাদের কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং যে কোন একটি প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টির নিরসন ঘটা উচিত।