আজকের বিষয় হচ্ছে নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক: রাজতান্ত্রিক সৌদি সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ। গোটা বিশ্ব জুড়ে এই খবরটি তোলপাড় তুলেছে যে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজি , যিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ছিলেন এবং তাঁর লেখায় সৌদি সরকারের , বিশেষত রাজপরিবারের এবং যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সমালোচনা করা হয়েছিল, তিনি গত ২রা অক্টোবর থেকে , নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা যেমনটি খবরে শুনেছি যে তিনি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের আগে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে কিছু দরকারি কাগজপত্র নিতে গিয়েছিলেন এবং তার পর তিনি আর ঐ কনসুলেট থেকে বেরিয়ে আসেননি। খাশোগজিকে কনসুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে এবং তুরস্কের তদন্তকারীরা সেখানে প্রবেশ করে , এই হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও বলছেন যে সেখানে হত্যার চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল , দেয়ালে রং দেয়া হয়েছে । এ দিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসাল জেনারেল সে দেশ ত্যাগ করেছেন। তাঁর বাড়িতেও অনুসন্ধান চালানোর বিষয়টি উঠে এসছে।
এ সব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ও ভাবনায় পড়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি বাদশাহ এবং যুবরাজের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাঁরা এ বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেছেন । পম্পেও আজ তুরস্ক গিয়েছেন। এ দিকে কোন কোন সুত্র বলছে যে সৌদি আরব এমন কথা ও বলেছে যে খাশোগজিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে কোন রকম অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে তবে এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজ সম্পৃক্ত নন। অন্যদিকে বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে যে সৌদি যুবরাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত একজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে। গোটা বিষয়টি বড় রকমের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। সৌদি আরবের প্রভাব কেবল মধ্যপ্রাচ্যে নয় , পশ্চিমি দেশগুলোতেো রয়েছে , অর্থনৈতিক এবং কুটনৈতিক প্রভাব । এই ঘটনা সৌদি আরবের সামনে নতুন কি ধরণের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করলো সে নিয়ে আমাদের আজকের এই কল ইন শো , হ্যালো ওয়াশিংটন । আজ আমাদের অতিথি প্যানেলে রয়েছেন , যুক্তরাষ্ট্রের উইসকন্সিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজবুশ প্রফেসার এমিরেটাস জিল্লুর রহমান খান। আর ও রয়েছেন , ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির , ডিস্টংগুইশড প্রফেসার আলী রীয়াজ ।