অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন ইস্যুতে বার্লিন এবং ক্রেমলিনের দূতেরা মিলিত হচ্ছেন: জার্মান সরকারের সূত্র


জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ রোমের চিগি প্যালেস সরকারী অফিসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাঘির সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। (ফাইল ছবি) সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ রোমের চিগি প্যালেস সরকারী অফিসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাঘির সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। (ফাইল ছবি) সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১।

জার্মান সরকারের একটি সূত্র শনিবার জানিয়েছে, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর প্রয়াসে, আগামী মাসে বিরল এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন জার্মান ও রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানিয়েছে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা জেনস প্লোটনার এবং রাশিয়ার ইউক্রেন সংক্রান্ত আলোচক দ্যমিত্রি কোজাক বৃহস্পতিবার একটি দীর্ঘ ফোনালাপের পর দেখা করতে সম্মত হয়েছেন।

তবে জার্মান সরকার এবং কোজাকের মুখপাত্র কেউই আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি এবং ইউক্রেনে আক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিমা নেতা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একের পর এক ফোনালাপ হয়েছে।

পশ্চিমা ও রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সশরীরে আলোচনা কম হলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত জুনে জেনেভায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ।

চলতি মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শোলজ, ইউক্রেনিযার সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি নিয়ে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পশ্চিমা মিত্রদের সাথে একমত হলেও, রাশিয়ার সাথে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

দুটি সরকারী সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বার্লিন ওয়াশিংটনের চেয়েও বেশি সন্দিহান যে, রাশিয়া আসলেই ইউক্রেন আক্রমণ করতে চায় নাকি চায় না; একই সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনেও তারা আগ্রহী।

ইউক্রেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যে বহুপাক্ষিক আলোচনার কথা উল্লেখ করে, জার্মান সরকারের সূত্রটি বলেছে, “নরম্যান্ডি ফর্ম্যাটের দ্রুত পুনরায় সক্রিয়তা অর্জন করাই জার্মান পক্ষের লক্ষ্য”।

XS
SM
MD
LG