বুধবার গাজা সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় একজন ইসরাইলি আহত হয়েছে। সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ইসরাইলে এক ব্যতিক্রমী সফরের পর, ছিটমহলের হামাস শাসকদের পক্ষ থেকে ওই সফরের নিন্দা জানানো হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা উত্তর গাজা উপত্যকায় হামাস চৌকিগুলি লক্ষ্য করে ট্যাংক ফায়ার চালিয়ে গুলির জবাব দিয়েছে। এতে তিনজন ফিলিস্তিনি কৃষক আহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দিন শেষে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজের বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন আব্বাস। এক দশকেরও বেশি সময়ের পর ইসরাইলে পশ্চিমা-সমর্থিত ফিলিস্তিনি কোনও নেতার এটাই প্রথম সফর। তবে আব্বাসের এই সফরের ফলে, দীর্ঘ দিন ধরে থমকে থাকা শান্তি আলোচনা আবার শুরু হবার তেমন কোন সম্ভাবনা দেখা দেয়নি।
দুই নেতার আলোচনার পর, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে ঘোষণা দিয়ে, একে "আস্থা-নির্মাণ ব্যবস্থা" হিসাবে বর্ণনা করেছে। এর ফলে শত শত ফিলিস্তিনি ব্যবসায়ীর ইসরাইলে প্রবেশকে আরও সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গাজায়, হামাসের একজন মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, গ্যান্টজের সাথে আব্বাসের সাক্ষাত "ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও গভীর করবে"।
গাজা থেকে গুলি চালানোর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, এতে একজন বেসামরিক লোক সামান্য আহত হয়েছে। গত মে মাসে ইসরাইলের এবং গাজা জঙ্গিদের মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধের পর থেকে সীমান্ত বেশ শান্তই ছিল।
'রাজনৈতিক দিগন্ত'
আব্বাস এবং গ্যান্টজের সর্বশেষ সাক্ষাত হয়েছিল গত আগস্ট মাসে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাত সমাধানের জন্য একটি "রাজনৈতিক দিগন্ত তৈরির গুরুত্ব" নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গ্যান্টজ, টুইটারে তার বৈঠকের সারসংক্ষেপে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর, ২০১৪ সাল থেকে স্থবির শান্তি প্রক্রিয়াটির কথা উল্লেখ করেননি। ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।
গ্যান্টজ লিখেছেন, “আমরা অর্থনৈতিক ও বেসামরিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের মঙ্গলের জন্য নিরাপত্তা সমন্বয় আরও গভীর করার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রতিরোধের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছি”।