অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 
গাজীপুরের পোশাক কারখানায় টিকা নেয়ার পর অর্ধ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

গাজীপুরের পোশাক কারখানায় টিকা নেয়ার পর অর্ধ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ


ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে টিকা কেন্দ্রে এক ব্যক্তিকে টিকা দিচ্ছেন নার্স। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে টিকা কেন্দ্রে এক ব্যক্তিকে টিকা দিচ্ছেন নার্স। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার

কালিয়াকৈর উপজেলায় মৌচাক এলাকার সাদমা গ্রুপের মৌচাক ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের টিকা দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ওই কারখানার অন্তত ৫৪ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয় বলে গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

সিটি করপোরেশন এর বাইরে হওয়ায় এই কারখানায় সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছিল।এর আগে ওই কারখানার শ্রমিকদের একই টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। তবে তখন কোনো সমস্যা হয়নি বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের চিকিৎসা দেয়া ডাক্তারদের উদ্বৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন জানান, শ্রমিকরা মানসিক কারণে এভাবে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন। কারণ ওই টিকার মেয়াদে কোন সমস্যা ছিল না। এছাড়া যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই তা সংরক্ষণ করা ছিল। কেন এত বেশি সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লো তা জানার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( উন্নয়ন ও পরিকল্পনা)

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই প্রতিনিধিকে বলেন, টিকার সঙ্গে শ্রমিকদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।এটি হতে পারে তাদের নার্ভাস সাইকোজেনিক সমস্যা। টিকা দেয়ার পর এমন সমস্যা আরো হয়েছে।গাজীপুরের ঘটনাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানতে পেরেছে। কি কারণে এমনটি হয়েছে তা আমরা অনুসন্ধান করে দেখছি।কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ওই পোশাক কারখানায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শ্রমিকদের মাঝে সিনোফার্মের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। কয়েকশো শ্রমিককে টিকা দেয়ার ঘণ্টাখানেক পর অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাদের কেউ কেউ অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের কারখানার নিজস্ব পরিবহনে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসা দেয়া হয়।জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, অসুস্থ শ্রমিকরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের কেউ আর ভর্তি নেই।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুটি কারখানায় সিনোফার্ম ও অন্য দুটি কারখানার শ্রমিকদের মডার্নার টিকা দেয়া হয়। বাকি তিনটি কারখানার শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হয়নি।এদিন দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার ৮৫ ভাগ দেয়া সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার টঙ্গীর গাজীপুর এলাকার শ্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় টিকা নেয়ার পর কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিনভর ওই কারখানায় প্রায় ১২০০ শ্রমিককে মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়। এদিন চার শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরের দিন কাজে যোগ দিয়ে আরো কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিন কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। শ্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের মালিক আমানুল্লাহ চাকলাদার জানিয়েছেন, ১৮ই জুলাই শ্রমিকদের যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা দেয়া হয়েছিল।মঙ্গলবার দেয়া হয় দ্বিতীয় ডোজ।টিকা দেয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই জ্বর, ব্যথাসহ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

XS
SM
MD
LG