বিশ্বজুড়ে লক্ষ কোটি দর্শক ভক্ত দেখলেন আতস বাজির মেলায় উদ্ভাসিত স্পেনের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো ২০১০ সালের সোনার বিশ্বকাপ। আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম বিশ্বকাপে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ান স্পেন তার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে। ফাইনালে নেদারল্যাণ্ডসকে ১ - ০ গোলে হারিয়ে স্পেন প্রমান করলো বর্তমানে ফুটবলের মাঠে তারাই বিশ্ব সেরা, এ ছিল তাদের রূপকথার গল্প। একমাস আগে যে দলটি বিশ্বকাপের প্রথম খেলাতেই সুইজারল্যাণ্ডের কাছে পরাজয় দিয়ে শুরু করেছিল, তারাই যে ব্রাজিল,আর্জেন্টিনা, জার্মানীর মত তুখোড় দলগুলোকে ছাড়িয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে কেউই কল্পনা করতে পারেনি। আর চূড়ান্ত ম্যাচে স্পেন হারিয়ে দিল নেদারল্যাণ্ডসকে বাড়তি সময়ের খেলায়, সেটাও ভাবা যায়নি আর নেদারল্যাণ্ডস যারা ১৯৭৪ আর ১৯৭৮ সালে দুবার ফাইনালে খেলেছে, এবারও দ্বিতীয় স্থানের সাফল্য নিয়েই ঘরে ফিরলো। অনেকে এখন সমালোচনায় মুখর ফাইনাল খেলায়, রেফারীর কাছ থেকে হলুদ কার্ড সেইসঙ্গে একটি রেড কার্ডের মাঝে খেলায় যে ছন্দপতন ঘটেছে তা স্বীকার করতেই হয়।
৫টি গোল করে, বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বল’ পেয়েছেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দিয়েগো ফোরলান। জার্মানীর টমাস মুলারও ৫টি গোল করেছেন এবং ৩টি গোলের সুযোগ করে দিয়ে, বিশ্বকাপের দুটি পুরস্কার – ‘গোল্ডেন বুট’ ও টুর্নামেন্টের ‘সেরা তরুন খেলোয়াড়’ দুটি পুরস্কার পেয়েছেন। হিমেল হাওয়ার মাঝে সকার সিটি স্টেডিয়ামে স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপের প্রধান আকর্ষণ, বিশ্ব শান্তি, ঐক্য এবং মৈত্রীর অন্যতম প্রতীক – নেলসান ম্যাণ্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকা একমাসের আয়োজনে দেখিয়ে দিল – হ্যাঁ, তারাও সফল আয়োজন করতে পারে বৈকি।