বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী শাখা তার সদস্য দেশগুলোকে সাংবাদিকদেরকে আরও ভালভাবে নিরাপত্তা দিতে বলেছে। গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে শারীরিক আক্রমণ এবং অনলাইন হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তারা এমন পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের মতে, ২০২০ সালে ২৭টি দেশ সম্বলিত ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৯০৮ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী হামলার শিকার হয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে ইইউতে মোট ২৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড গত ছয় বছরের মধ্যে ঘটেছে।
কমিশনের মূল্যবোধ এবং স্বচ্ছতার জন্য নিয়োজিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জুরোভা বলেন, "কোনো সাংবাদিকের তাদের চাকরির কারণে মৃত্যু ঘটা বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া উচিত্ নয়। আমাদের সাংবাদিকদের সমর্থন ও নিরাপত্তা দিতে হবে; তারা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।"
"মহামারি আমাদেরকে দেখিয়েছে যে , যে কোন সময়ের তূলনায় এখন আমাদেরকে তথ্য জানানোর জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের আরও জরুরি কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেটিও উপলব্ধি করিয়েছে।"
ইউরোপে সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বিরল কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্লোভাকিয়া এবং মাল্টায় সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উন্নত, গণতান্ত্রিক সমাজে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এই বছরের শুরুর দিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসালা ভন ডার লেয়েন নেদারল্যান্ডসে হিংস্র গোপন অপরাধ জগতের ওপর প্রতিবেদনকারী বিখ্যাত ডাচ সাংবাদিক পিটার আর ডি ভ্রিসকে হত্যার পর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
কমিশনের বাধ্যতামূলক নয় এমন প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে ইইউ দেশগুলিতে ন্যায্য ও কার্যকর তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করা এবং হুমকির মুখে থাকা সকল সাংবাদিক বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি সুপারিশ।
ইইউ’র হিসেবে , ৭৩ শতাংশ নারী সাংবাদিক অনলাইনে সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কমিশন বলেছে, ইইউ দেশগুলোর উচিত "সংখ্যালঘু গোষ্ঠীসমূহের নারী সাংবাদিক এবং পেশাজীবীদের এবং যারা সমতার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন তাদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগকে সমর্থন করা।"