শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০০০ সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ সম্মেলনে উন্নয়নের একটি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয় যা, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এমডিজি হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ২০১৫ সালের মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য সবগুলো দেশ এমডিজির আটটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে একমত হয়।
১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বিমোচন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনা
২. বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
৩. লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা
৪. শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনা
৫. মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন
৬. এইডস-ম্যালেরিয়া দূর করা
৭. পরিবেশের ভারসাম্য নিশ্চিত করা
৮. এবং উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা
এই আটটি লক্ষমাত্রা বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনমান আরো উন্নত হবে।
বাংলাদেশ ত্বরান্বিত এমডিজি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের মডেল হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ইউএনডিপির সর্বশেষ ২০০৮ সালের মানব সূচক উন্নয়নে গত দশ বছরে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে। ০.৫২৪ সূচক অর্জন করে ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে।
আটটি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এমডিজি ১, এমডিজি ২ এবং এমডিজি ৫- এ বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পথে রয়েছে।
এমডিজি-১ চরম দারিদ্র ও ক্ষুধা দূরিকরণ
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ৬০ শতাংশ থেকে ২০১২ সালে তা নেমে এসেছে ২৬.৪ শতাংশে। কিন্তু এখনও ৪৫ শতাংশ শিশুর শারীরিক ওজনে ঘাটতি রয়ে গেছে। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি।
এমডিজি-২ সবার জন্য শিক্ষা
বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার যেখানে ছিল ৬০ শতাংশ ২০১১ সালে সেটি উন্নীত হয়েছে ৯৫ শতাংশে। এ এক দারুণ অর্জন। পরিপূর্নভাবে এমডিজি লক্ষ পূরণে দরকার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ধরে রাখা।
এমডিজি-৫ মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯৪ সালে ছিল প্রতি লাখে ৫৭৪ জন। ২০১১ সালে সংখ্যাটি নেমে এসেছে ১৯৪ এ। যুগান্তকারী অর্জন হলেও এখনো অনেকপথ বাকি আছে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে।
এছাড়াও বাকি লক্ষ্যমাত্রা গুলো অর্জনের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এখন প্রয়োজন একটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ। ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, যেখানে তরুণদের জন্য সৃষ্টি হবে সুযোগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০০০ সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ সম্মেলনে উন্নয়নের একটি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয় যা, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এমডিজি হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ২০১৫ সালের মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য সবগুলো দেশ এমডিজির আটটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে একমত হয়।
১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বিমোচন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনা
২. বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
৩. লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা
৪. শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনা
৫. মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন
৬. এইডস-ম্যালেরিয়া দূর করা
৭. পরিবেশের ভারসাম্য নিশ্চিত করা
৮. এবং উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা
এই আটটি লক্ষমাত্রা বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনমান আরো উন্নত হবে।
বাংলাদেশ ত্বরান্বিত এমডিজি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের মডেল হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ইউএনডিপির সর্বশেষ ২০০৮ সালের মানব সূচক উন্নয়নে গত দশ বছরে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে। ০.৫২৪ সূচক অর্জন করে ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে।
আটটি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এমডিজি ১, এমডিজি ২ এবং এমডিজি ৫- এ বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পথে রয়েছে।
এমডিজি-১ চরম দারিদ্র ও ক্ষুধা দূরিকরণ
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ৬০ শতাংশ থেকে ২০১২ সালে তা নেমে এসেছে ২৬.৪ শতাংশে। কিন্তু এখনও ৪৫ শতাংশ শিশুর শারীরিক ওজনে ঘাটতি রয়ে গেছে। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি।
এমডিজি-২ সবার জন্য শিক্ষা
বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার যেখানে ছিল ৬০ শতাংশ ২০১১ সালে সেটি উন্নীত হয়েছে ৯৫ শতাংশে। এ এক দারুণ অর্জন। পরিপূর্নভাবে এমডিজি লক্ষ পূরণে দরকার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ধরে রাখা।
এমডিজি-৫ মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯৪ সালে ছিল প্রতি লাখে ৫৭৪ জন। ২০১১ সালে সংখ্যাটি নেমে এসেছে ১৯৪ এ। যুগান্তকারী অর্জন হলেও এখনো অনেকপথ বাকি আছে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে।
এছাড়াও বাকি লক্ষ্যমাত্রা গুলো অর্জনের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এখন প্রয়োজন একটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ। ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, যেখানে তরুণদের জন্য সৃষ্টি হবে সুযোগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।