সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটবাহিনী সানায় হুথিদের বিরুদ্ধে রাত্রিকালীন বিমান অভিযান চালিয়েছে যাতে বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে হুথি সংবাদ মাধ্যম ও বাসিন্দারা জানিয়েছে ।এই বিমান হামলা ছিল ২০১৯ সালের পর অন্যতম এক মারাত্মক হামলা।
প্রতিবেশী ও চিকিৎসাকর্মীদের মতে জোট বাহিনীর জঙ্গি বিমান একজন উচ্চ পদস্থ হুথি সামরিক কর্মকর্তা, তার স্ত্রী ও ছেলের ব্যবহৃত বাড়ি লক্ষ্যকরে হামলা চালালে প্রায় ১৩জন নিহত হন।
সোমবার জোটের অংশীদার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়।ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্তহুথিদের এই হামলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায় মঙ্গলবার সকালে,জোটবাহিনী সানায় হুথিদের শিবির ও শক্তঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা বিমান হামলা শুরু করে।
হুথি সংবাদ মাধ্যম জানায় হুথি সামরিক কর্মকর্তা, কাসিম আল জুনাইদ, যিনি হুথি এভিয়েশন কলেজের প্রাক্তন প্রধান, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়। সামরিক সূত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঐ হামলায় আল জুনাইদ, তার স্ত্রী ও ২৫ বছর বয়সী ছেলে,পরিবারের অন্যান্য সদস্য, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক মারা যায়।
জুনাইদ ছিলেন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৭০জন হুথি কর্মকর্তার একজন, মারিবের একটি আদালত এদেরকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো। মারিব প্রদেশটি এখনো সৌদি সমর্থিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনি সরকারের অধীনে।
হুথি প্রশাসনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী টুইটার মারফত জানান, শহরজুড়ে রাত্রিকালীন জোটের হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন।হুথি প্রশাসনের অধীনেই রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় ইয়েমেনের বেশির ভাগ এলাকা হুথিরা সোমবার আবু ধাবির দুটি স্থানে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে।আবু ধাবি বিমানবন্দরের কাছে সে হামলায় পরে তেলবাহী ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটে।