বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়া এখন কভিড-১৯ এর দ্রুত এবং মারাত্মক সংক্রমণযোগ্য ডেল্টা প্রকরণের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। বুধবার একদিনেই দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক, ৫৪,৫১৭ জন সংক্রমিত হয়েছে, মারা গেছে ৯৯১ জন। জাভা দ্বীপের হাসপাতালগুলোতে সংক্রমিত রোগিরা উপচে পড়ছে এবং সেখানকার বাশিন্দারা বাড়িতে থাকা পরিবারের করোনায় আক্রান্ত রোগিদের চিকিত্সার জন্য মরিয়া হয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সন্ধান করছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় কভিড-১৯’এ প্রতিদিনের উচ্চ সংক্রমণের এই হার ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে যেখানে এই ডেল্টা প্রকরণ প্রথম সনাক্ত হয়। এ বছরের গোড়ার দিকে ভারতে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয় এবং মে মাসের শুরুর দিকে সেখানে প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ, এখন সেটা ৪০,০০০’এ নেমে এসেছে। দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে যে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্না টিকার ১৫ লক্ষ ডোজ ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছুনোর কথা। এর আগেই রোববার ৩০ লক্ষ ডোজ সেখানে পৌঁছেছে। সে দেশের ২৭ কোটি লোকের মধ্যে মাত্র দেড় কোটি লোকের টীকা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
কভিড-১৯ এর এই ডেল্টা প্রকরণটি অস্ট্রেলিয়াতেও ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে । দক্ষিণের ভিক্টোরিয়া রাজ্যের কর্মকর্তারা সেখানে বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন যে রাজধানী মেলবোর্নসহ, ঐ রাজ্যের ষাট লক্ষ অধিবাসী বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন কেবলমাত্র চিকিত্সা, জরুরি কাজ, অত্যাবশকীয় কেনাকাটা , অনুশীলন কিংবা টিকা নিতে। ঐ রাজ্যে এ বছর এই তৃতীয়বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হলো এবং এই মহামারি শুরু হবার পর থেকে এটি হচ্ছে পঞ্চম লকডাউন। এর একদিন আগেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে দু সপ্তার লকডাউন ঘোষণা করা হয়। জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের হিসেব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৩১,৫১৩ জন সংক্রমিত হয়েছে এবং ৯১২ জন মারা গেছে। অস্ট্রেলিয়া কড়া লকডাউনের কারণে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম হয়েছে।