শুক্রবার আরো একটি বিশৃঙ্খল ও মহামারী আক্রান্ত বছর শেষে, বিশ্ব স্বাগত জানাতে শুরু করেছে ২০২২ সালকে, নতুন নিষেধাজ্ঞা ও উচ্চ সংক্রমণের সংখ্যা নিয়েই, তবে আগামী দিনগুলোতে কিছুটা আশার আলো রয়েছে।
বিগত ১২ মাসে আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রের একজননতুন প্রেসিডেন্টকে, পেয়েছি এডেলে'র ঝকঝকে গানের অ্যালবাম, প্রথম একটি দর্শক শূন্য অলিম্পিক্স উৎসব, আফগানিস্তান থেকে মিয়ানমারে এবং হংকং ‘এস্বৈরাচারী সরকারকে দেখেছি গণতন্ত্রের স্বপ্ন এবং স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিতে।
তবে করোনা মহামারী যা তৃতীয় বছরে পড়লো, আবারও মানবজাতির জীবনে সবচাইতে বেশি আধিপত্য বিস্তার করছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মধ্য চীনে এই মহামারি প্রথম দেখা দেয়ার পর, ৫৪ লক্ষ লোক করোনা রোগে প্রাণ দিয়েছেন। এএফপি'র সমীক্ষা অনুযায়ী বছরের শেষে ওমিক্রন প্রকরণের সংক্রমণের দৈনিকসংখ্যা প্রথমবারের মত ১০ লক্ষের বেশি ছাড়িয়ে গেছে।
ফ্রান্স ছিল সর্ব সাম্প্রতিকদেশ, যারা শুক্রবার জানায় যে ওমিক্রন সেখানে সবচাইতে প্রভাবশালী ভাইরাস।
ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং এমনকি অস্ট্রেলিয়া যারা মহামারী থেকে অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছিল, সেখানেই নতুন সংক্রমণ এখন রেকর্ড মাত্রায়।
ভাইরাসের ব্যাপকতা সত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়া তাদের উৎসব আয়োজন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল তবে উৎসব শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ ৩২,০০০ নতুন সংক্রমণের কথা জানায়। পার্শ্ববর্তী দেশ নিউজিলান্ডে ওমিক্রন এখনো না ছড়ালেও, কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা, টানা দুবছর নতুন বছরের প্রাক্কালে ঘন্টা বাজানোর উৎসব বাতিল ঘোষণা করলো।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও, দুবাই তাদের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুরজ খলিফায় আতশবাজি পোড়ানোর উৎসব চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে নভেম্বরে ওমিক্রন কভিড দেখা দেয়ার কথা সবার আগে যে দেশটি জানিয়েছিল, তারা নতুন বছরের উত্সব পালনের জন্য কারফিউ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে সংক্রমণের হার কমে যাওয়া এবং বিশেষত মৃতের হার নেমে আসাতে বর্তমান ঢেউয়ের উচ্চ মাত্রা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী দিন কষ্টকর হতে পারে এমন ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে বলছে ওমিক্রন "নতুন সংক্রমণের সুনামি" হয়ে দাঁড়াতে পারে।