সাহায্য সংস্থা, "সেভ দি চিলড্রেন" জানিয়েছে যে মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ কায়াহ রাজ্যে এক হামলায় তাদের দুজন সদস্য নিখোঁজ হওয়ার পর তারা সেখানে তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছে। হামলায় শিশু ও মহিলাসহ অন্তত ৩০জন নিহত হন, অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।
"সেভ দি চিলড্রেন" শনিবার পরের দিকে এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের ২জন সদস্য বছর শেষে ছুটিতে তাদের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, তখনই তারা পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে হামলার শিকার হন।
বিবৃতিতে বলা হয় "তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা ও তা পুড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হয়েছি"।
শুক্রবার হাপ্রুসো শহরের মো সো গ্রামের কাছে ঐ হামলার জন্য বিরোধী দলগুলি সামরিক বাহিনীকে দোষারোপ করে যারা ফেব্রুয়ারী মাসে অসামরিক সরকার থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জেনারেল জ মুন টুন রবিবার টেলিফোনের জবাব দেন নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা, সামাজিক মাধ্যমের খবর বা স্থানীয় একটি মানবাধিকার গ্ৰুপের পাঠানো শনিবারের হামলার বিবরণ সম্পর্কে রয়টার্স সংস্থা স্বতন্ত্রভাবে সত্যায়ন করতে পারে নি।
রাষ্ট্রীয় মাধ্যম জানায়, সেনা বাহিনীর সদস্যরা বিরোধী বাহিনীর অজানা সংখ্যক "অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের" প্রতি গুলি চালায় ও তাদের হত্যা করে, যারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল।
কারেনি মানবাধিকার সংস্থা ও স্থানীয় মাধ্যমের শেয়ার করা ছবিতে ট্রাকের পেছনে অগ্নিদগ্ধ দেহের অবশিষ্টাংশ পরে থাকতে দেখা যায়।
শনিবার একজন গ্রামবাসী রয়টার্সকে জানান তিনি ৩২টি মৃতদেহ দেখেছেন, তবে "সেভ দি চিলড্রেন" সংস্থা জানায় অন্তত ৩৮জনকে হত্যা করা হয়েছে।
লন্ডন ভিত্তিক সংস্থাটি জানায় তারা কায়াহ এবং পার্শ্ববর্তী কারেন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ও মাগওয়ে অঞ্চলে তাদের ত্রাণ তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছে।
(রয়টার্স)