ভালোই চলছিলো জাহিদুল, শহিদুলদের সংসার। গ্রামের এক দালালের খপ্পরে পড়ে পল্লীবিদ্যুতের কাজে যায় তারা। শ্রমিক হিসেবে অংশ নেয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। সেই ঝুঁকিতেই একদিন জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। এখন তাদের সংসার অভাব অনাটনে জরাজীর্ণ।
জাহিদুলের তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় জাহাঙ্গীর। অনেক স্বপ্ন নিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কম্পিউটার সাইন্সে। বাবার অসহায়ত্বের কাছে হার মেনে যায় তার স্বপ্ন। বন্ধ হয়ে যায় পড়ালেখা।অসংখ্য মানুষ পল্লীবিদ্যুতের এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকেই হারিয়েছেন জীবন। সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও কখনোই অনুতপ্ত হয়না তারা। এই দায় তাহলে কাদের? এমন জিজ্ঞাসার উত্তর মেলে না কারো কাছে।
গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দুই পর্বের ধারাবাহিকের শেষ পর্বে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আমাদের বগুড়া সংবাদদাতা প্রতীক ওমর।