মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রিপাবলিকান শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটের নিয়ম কড়াকড়ি করার প্রচেষ্টার নিন্দে করেন এবং বলেন , “এ হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার উপর আঘাতের সূচনা”। রিপাবলিকানরা অবশ্য বলছেন তাঁরা ভোটদানের নিয়মে কড়কড়ি করছেন যাতে করে ভবিষ্যতে কোন রকম ভোট-জালিয়াতি না হয় এবং আমেরিকানদের মনে এই আস্থা জন্মায় যে যথার্থ ভাবে ভোট গণনা করা হয়।
তবে সম্ভবত তাঁর ছয়মাসের প্রেসিডেন্ট আমলের সবচেয়ে আবেগময় ভাষণে বাইডেন এই যুক্তির বিরোধীতা করে বলেন যে ১৭টি অঙ্গরাজ্যে এরই মধ্যে যে ২৮ টি আইন পাশ করা হয়েছে তাতে “আমেরিকানদের জন্য ভোটদান কঠিন হয়ে উঠেছে”। তিনি ঘোষনা করেন, “এটি নির্বাচন বিরোধী, এটি বিবেকবিহীন কাজ”। নাম না করেই বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ভর্ত্সনা করেন। ট্রাম্প অব্যাহত ভাবে দাবি করেন যে গত নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট প্রদান ও ব্যালট গণনায় কারচুপির কারণে তাঁকে আরও চার বছর মেয়াদের জন্য হোয়াইট হাউজে থাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়। ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশান সেন্টারে তাঁর সমর্থকদের সোচ্চার হর্ষধ্বণির মধ্যে বাইডেন ঘোষণা করেন, “চরম মিথ্যে হচ্ছে, চরম মিথ্যেই”।
ভোটাধিকার বিষয়ে ভাষণ দেয়ার জন্য বাইডেন এই শহরটিকে বেছে নেন কারণ এটিই হচ্ছে আমেরিকান গণতন্ত্রের সূতিকাগার, এখানেই এ দেশের প্রতিষ্ঠাতা-পিতারা প্রথম ১৭৭৬ সালে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। বাইডেন ট্রাম্প প্রসঙ্গে বলেন , “ আমেরিকায় আপনি যদি হেরে যান, আপনি ফলাফল মেনে নেন”। বাইডেন আবার সেনেটের প্রতি আহ্বান জানান যে তারা যেন প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত ভোটাধিকার বিষয়ক আইনটি পাশ করে। ঐ আইনে কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়মগুলি গোটা দেশের জন্য অভিন্ন হবে । এই আইন পাশ হলে রাজ্যগুলোর নতুন আইন বাতিল হয়ে যাবে । বাইডেন এবং তাঁর ডেমক্রেটিক দলীয় বিধায়করা বলছেন যে রাজ্যের আইনে সংখ্যালঘুরা ভোটদানে বাধা গ্রস্ত হবেন , যাঁরা কীনা সাধারণত ডেমক্র্যাটদের পক্ষেই ভোট দেন।