বাংলাদেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, দাবি পূরণের আশ্বাসে প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
শনিবার রাতে শ্রম অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর আগামী মার্চের মধ্যে ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
কিন্তু আগে কয়েক দফা আশ্বাসের পরও কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না নৌযান শ্রমিকদের দাবিগুলো—তা জানতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক আশিকুল আলমের সঙ্গে ওয়াশিংটন স্টুডিও থেকে কথা বলেছেন তাওহীদুল ইসলাম।
এর আগে মজুরি বৃদ্ধি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ কয়েকটি দাবিতে হাজার হাজার নৌযান শ্রমিক শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন।
ধর্মঘটের কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্রবন্দরে মালামাল পরিবহন বন্ধ থাকায় ৩০ লাখ টনের বেশি মালামাল বিভিন্নস্থানে আটকা পড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম অচল হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কায় পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া নৌপথে যাত্রী পরিবহনেও দেখা দিয়েছে সংকট। কয়েকজন যাত্রী এমন কথাই বলছিলেন। দেশে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের বিরাট একটি অংশ নৌপথের ওপর নির্ভরশীল।