জাপানি নাগরিক কুনিও হোসির হত্যাকান্ডের পর সরকার বার বার বলতে চেয়েছে এর সঙ্গে আইএস মোটেই জড়িত নয়। বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই। বিএনপি-জামায়াতের দুষ্টুচক্র এর সঙ্গে জড়িত। যদিও আইএস সঙ্গে সঙ্গে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিল। সর্বশেষ সরকারিভাবেই আইএসের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে নেয়া হলো। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এটা মেনে নিয়েছেন।
তিনি ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দুকে বলেছেন, কুনিও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আইএস ঘাতক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ তাদের খুঁজছে। তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা তাদের বলেছেন, বাংলাদেশ যেসব গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছে তা নিয়ে তারা কাজ করছেন। সংশ্লিষ্টদের ধরার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে ভারতে পালিয়ে আছে এমন ২০৪ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে ভারতের হাতে তালিকা ধরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু কুনিও হোসির আইএস ঘাতকদের বিষয়ে বাংলাদেশের এই দাবি একদম নতুন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দ্য হিন্দুকে বলেন, যাদের তালিকা ভারতের হাতে দেওয়া হয়েছে তাতে রয়েছে তাদের ছবি ও ঠিকানা। ১৬ই নভেম্বর ঢাকায় দু’দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে আইএসের হুমকি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুই আইএস ঘাতকের ভারতে থাকার বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, তালিকায় জামায়াতুল মুজাহিদিন ও আনসারুল্লাহ বাংলার বেশ কিছু সদস্যের নাম আছে। এরা কট্টরপন্থি গ্রুপ। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। উল্লেখ্য, গত ৩রা অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিওকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি'র কয়েকজন নেতাকর্মীকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।