বাংলাদেশে দিন যত যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনক হারে। আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য হাসপাতালগুলো সীমিত আকারে প্রস্তুত করা হলেও দেশের উত্তরের অধিকাংশ হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই। কিছু হাসপাতালে থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১টি ভেন্টিলেটর আছে। এর মধ্যে স্বচল আছে মাত্র ৬টি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০টি থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৫টি। বগুড়ায় একটি স্বচল থাকলেও সাতটি কয়েক দিনের মধ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বগুড়ার সামগ্রিক চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে কথা হয় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনের সাথে। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, এখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত। পিসিআর মেশিন আসছে, সেটি স্থাপনের কাজ চলছে। আর ভেন্টিলেটর একটি স্বচল আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরো সাতটি আসবে।
উত্তরের প্রবশেদ্বার বগুড়ার চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে আরো প্রায় আটটি জেলা। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা কার্যক্রম চললে হিমশিম খেতে হবে সবাইকে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার আরো উন্নতির জন্য কি করা দরকার জানতে চেয়ে ছিলাম বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের কাছে। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জেলার মানুষ বগুড়ার চিকিৎসা সেবার উপর নির্ভর করে। সে তুলনায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বগুড়া সেভাবে প্রস্তুত হতে পারেনি এখনো। তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাতটি ভেন্টিলেটর স্থাপন করবে। কারিগরি সহায়তার জন্য ঢাকা থেকে লোক আসবে। তিনি আশা করেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ সাতটি ভেন্টিলেটর স্থাপন হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বগুড়ার মত জায়গায় এই পরিমাণ খুব নগন্য। সরকার তার সাধ্যমত চেষ্টা করছে। আশা করি বগুড়ার দিকেও নজর দেবেন তারা।
এদিকে বগুড়াতে পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই মেশিন চালু হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। এই মেশিন চালু হলে তখন নমূনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী কিংবা ঢাকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বগুড়ার ১২ উপজেলা থেকে প্রতিদিন ১২০টি নমূনা পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও এখন প্রতিদিন নমূনা সংগ্রহ হচ্ছে ৪০-৫০ টি।