মিয়ানমারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল শুক্রবার ঢাকা আসছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরজমিনে দেখাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। শনিবার প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবে। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে এমনটাই ধারণা করছেন ওয়াকেবহাল কূটনীতিকরা।
জাতিসংঘ থেকে শুরু করে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব দেশই এই সংকটের আশু সমাধান চাচ্ছে। চীনের ভূমিকা অস্পষ্ট ছিল বরাবরই। অতিসম্প্রতি চীনও সবুজ সংকেত দিয়েছে। শরণার্থী প্রত্যাবর্তনে দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। সব রকমের প্রস্তুতি সত্ত্বেও মিয়ানমার রহস্যজনক কারণে চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি।
১৫ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব। তিন দিনের এই সফরকে ঢাকার কূটনীতিকরা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। তারা আশা করেন, প্রতিনিধি দলটি রাখাইনের সর্বশেষ অবস্থা শরণার্থীদের অবহিত করবেন। ফিরে যাবার ব্যাপারে সহমত তৈরি করবেন। রোহিঙ্গারা কিভাবে নেবেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। রাখাইন থেকে যেসব খবরাখবর আসছে তা প্রত্যাবাসনে মোটেই সহায়ক নয়- নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্তব্য করলেন ঢাকার একজন কূটনীতিক। তিনি অবশ্য এটাও বলেন, বুঝতে হবে মিয়ানমারের সঙ্গে বোঝাপড়া করছেন। যে কোন সময় তারা সরে যেতে পারে।
গত বছর নভেম্বর মাসে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মিয়ানমার নানা অজুহাতে পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। রোহিঙ্গারা আগাগোড়াই মিয়ানমার সরকারকে অবিশ্বাস করে আসছে। তাদের কথা, আন্তর্জাতিক মহলের তরফ থেকে ক্লিয়ারেন্স আসলেই কেবল তারা এই পথে পা বাড়াবে।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে রোববার। পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক দেশের বাইরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।