মিয়ানমারের আরাকান আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি এবং কারেন সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোসহ মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘুদের ৪০টির বেশি সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে আন্তজার্তিক আদালতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বিচারের মুখোমুখী করার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এইসব সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলো বিবৃতিতে বলেছে, গত কয়েক যুগ ধরে বেসামরিক সংঘাতের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অব্যাহতভাবে গণহত্যা, বিচার বর্হিভুত ও বেআইনী পন্থায় গ্রেফতার, অমানুষিক নির্যাতন, ধ্বংসযজ্ঞ, গুম এবং ব্যাপক হারে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে, বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপরে। বিবৃতিতে বলা হয়, একই কাজ তারা করছে রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও। এসব সশস্ত্র সংগঠনগুলো সংবাদ মাধ্যমকে পাঠানো ঐ বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমার সেনা সদস্যদের অমানবিক নির্যাতনের বিভিন্ন প্রমাণাদি ও তথ্যাদি তারা আন্তর্জাতিক আদালতে স্বাক্ষ্য হিসেবে হাজির করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মামলার শুনানিতে ইতিবাচক ফললাভ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বার্তা সংস্থাগুলো মিয়ানমারের ইয়ারবতি অঞ্চলের প্যাথেইন শহর থেকে জানিয়েছে, যখন বুধবার দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং সান সুচি বক্তব্য দিচ্ছিলেন- ঠিক তখনই প্যাথেইন আদালতে ৯৩ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে গ্রেফতারকৃত অবস্থায় হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তারা রাখাইন থেকে অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে অন্যস্থানে গিয়েছেন। তাদের কারাদন্ড দেয়া হয় বলেও বার্তা সংস্থা বলেছে।