করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ পড়েছে বড় সংকটে। এই অবস্থায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক উদ্যোগেও তেমন কোন ফললাভ হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন আড়াই লাখের মতো ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে বাংলাদেশে মজুদ বা স্টক আছে ত্রিশ লাখ ডোজেরও কম। এই অবস্থায় বিদ্যমান মজুদে সর্বোচ্চ ১০/১২ দিন দেশে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব। এই স্বল্প সময়ে ভ্যাকসিন আনাসহ আনুসঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। ঢাকায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে আরো ৩ কোটি ডোজ এবং দীর্ঘ মেয়াদে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশের প্রয়োজন। ভারতের সেরাম ইন্সস্টিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ আস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা চললেও ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে তা আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে রাশিয়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আড়াই কোটি ডোজ স্পুতনিক-ভি ভ্যাকসিন বিক্রির প্রস্তাব পুনরায় দিয়ে বলেছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা এই আড়াই কোটি ডোজ টিকা বিক্রি অথবা স্থানীয়ভাবে তৈরিতে সহায়তা করতে চায়। তবে রাশিয়া বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানীগুলোর সাথে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহ-উৎপাদক হতে চায় বলে এ সপ্তাহেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন। রাশিয়ার সাথে ভ্যাকসিন কেনা বা স্থানীয় পর্যায়ে সহ-উৎপাদক হতে গেলে চুক্তি সম্পাদনসহ অন্যান্য অনেক বিষয়ে অনেক সময় লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে এখনই ভ্যাকসিন পাওয়াও যাবে এমনটা নিশ্চিত নয়।
এদিকে, চলমান কঠিন-কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঢাকায় গণপরিবহন বাদে অন্যান্য যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। সড়কে কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা এমনটিই জানিয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯৫ জনের মৃত্যু এবং ৪ হাজার ৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।