বাংলাদেশে করোনার প্রথম ঢেউই এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের খবর নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান বলেছে, দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বিশ্বের ১০টি দেশে। এর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইউক্রেন ও সুইজারল্যান্ড। রিপোর্টে বলা হয় তালিকার শীর্ষে থাকা দশটি দেশ এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মুখোমুখি। এসব দেশ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি । লকডাউন প্রত্যাহার বা শিথিল করায়ও ঝুঁকি বেড়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ট্র্যাকিং অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে করোনার মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের ৪৫টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশকে বাছাই করা হয়েছে। মহামারি মোকাবিলায় নেয়া পদক্ষেপ শিথিলতার ভিত্তিতে দেশগুলোর স্কোর নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে গত ৪ঠা জুন থেকে ২৫শে জুন পর্যন্ত এই চার সপ্তাহে রোগী বেড়েছে অনেকটা জ্যামিতিক হারে। গত ৪ঠা জুন রোগী ছিলো ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। এর পরের সপ্তাহে ৭৮ হাজার ৫২ জন। ১৮ই জুন রোগী দাঁড়ায় এক লাখ ২৯২ জনে। ২৫ শে জুন এক লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জনে গিয়ে ঠেকে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৬৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জন। এ সময়ে মারা গেছেন ৪০ জন।
ওদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন চীনে চলমান ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল বাংলাদেশে শুরু হতে পারে। তিনি অবশ্য খোলাসা করে বলেননি কবে থেকে এটা শুরু হবে।