দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব মোতাবেক, নতুন শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮০৩ জন। আর এই সময়ে মারা গেছেন ৩৮ জন। ফলে সরকারি হিসেবে মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ জনে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের পরে সরকারি ছুটি ও লকডাউনের কারণে ৩০ মে পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৬০৮ জন। আর ৩১ মে থেকে সরকারি ছুটি আর না বাড়ানো এবং লকডাউন তুলে নেয়ার পরে ১৮ জুন পর্যন্ত এই কয়দিনে করোনা সংক্রমণে উল্লম্ফন দেখা দিয়ে বেড়েছে ৫৭ হাজার ৬৮৫ জন। ওর্য়াল্ডো মিটার বলছে, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশ এখন এশিয়ার মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে অর্থাৎ ঠিক সৌদি আরবের পরের স্থানে এবং চীনের ঠিক ওপরে।
এদিকে, ঢাকা মহানগরীতে করোনায় আক্রান্ত বেশি রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা এবং এসব এলাকাকে লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হলেও এ পর্যন্ত এক্ষেত্রে হযবরল অবস্থার চরম পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট একেক দপ্তর থেকে একেক ধরণের কথা বলা হচ্ছে- সমন্বয়হীনভাবে। বুধবার রাতে ঘোষণা দেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকাকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে। পরে ঢাকা সিটি করপোরেশন বৃহস্পতিবার জানায়, বসুন্ধরা এলাকায় বৃহস্পতিবার লকডাউন শুরু হচ্ছে না। বসুন্ধরাসহ অন্যান্য এলাকায় কবে লকডাউন শুরু হবে তাও কেউ বলতে পারছেন না। শুধু বলা হচ্ছে প্রস্তুত থাকতে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার আরও ৩জন চিকিৎসক মারা গেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট ৪৩ জন চিকিৎসক করোনা শনাক্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন।
ঢাকা থেকে আমীর খসরু