বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক এখনো জারি রয়েছে। সরকার বলছে, ভাস্কর্য আছে, থাকবে। হেফাজতসহ কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন প্রতিবাদ জানাচ্ছে। নানা ধরনের ফতোয়াও দিচ্ছে। বলছে, ইসলামে মূর্তি হারাম। রাজনৈতিক মহলেও এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। টেলিভিশন টকশোতেও বিতর্ক চলছে। শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, বিরোধী বিএনপির আস্কারা পেয়েই ধর্মীয় উগ্রবাদিরা এ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি বলেছে, এতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যও রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সরকার হার্ড লাইনে। হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আর্জি হলেও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারকগণ সারাদেশেই প্রতিবাদ জানান মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে। শনিবার চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত বিচারক রাজপথে নেমে আসেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন। পুলিশও অংশ নেয় মানববন্ধন ও সমাবেশে। চট্টগ্রামের দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সারাদেশ বিক্ষুব্ধ। বিচারকরাও তার অংশ। বিচারকরা বিচার করবে একই সঙ্গে প্রতিবাদও করবে।
ঢাকায় সরকারি কর্মচারীরা 'জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা' স্লোগান সামনে রেখে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শনিবার সকালে ওসমানী মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা ২৯টি ক্যাডার সার্ভিসের সবাই এই অঙ্গীকার করছি যে, জাতির পিতার অসম্মান আমরা হতে দেব না। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপর আঘাত কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। সমাবেশে বক্তারা বঙ্গবন্ধু ও দেশের বিরুদ্ধে অপচেষ্টাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।