বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ইথিওপিয়ায় কয়েকমাস ব্যাপী যুদ্ধে আটক ইরিত্রিয়ার শরণার্থীরা মৃত্যুদণ্ড এবং ধর্ষণ সহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে যা "পরিষ্কারভাবে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত।"
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার নতুন প্রতিবেদনে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টিগ্রায় অঞ্চলের ইরিত্রিয়ান সৈন্য এবং বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে দুটি শরণার্থী শিবিরে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন এবং বৃহৎ আকারে ধ্বংসযজ্ঞের খবর পাওয়া গেছে।
আফ্রিকা শৃঙ্গে এইচআরডব্লিউ'র পরিচালক লেতিতিয়া বাদের বলেন, "টিগ্রায় অঞ্চলে ইরিত্রিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং লুটপাট স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ করে।"
লেতিতিয়া বলেন, "বহু বছর ধরে, টিগ্রায় ছিল ইরিত্রিয়ার শরণার্থীদের জন্য নির্যাতন থেকে পালানোর আশ্রয়স্থল, কিন্তু অনেকেই এখন মনে করেন যে তারা আর নিরাপদ নয়।"
গত নভেম্বর মাসে যখন আঞ্চলিক শাসক দল টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফকে উৎখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ টিগ্রায় অঞ্চলে সৈন্য পাঠান তখন ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চল সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সেনা ক্যাম্পে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঐ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ইথিওপিয়ার এজেন্সি ফর রিফিউজি অ্যান্ড রিটার্নিজ অ্যাফেয়ার্স (এআরআরএ) জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে টিগ্রায় অঞ্চল ছিল ইরিত্রিয়ার ৯২,০০০ শরণার্থীদের আবাসস্থল। যাদের মধ্যে ১৯,২০০ জন ছিল হিটস্যাট এবং শিমেলবা ক্যাম্পে।
১৯৯৮-২০০০ সালে এক নৃশংস সীমান্ত যুদ্ধে লিপ্ত ছিল ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়া।যার ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।এরপর আবী ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফওয়ার্কির সঙ্গে পুনরায় সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন যার জন্য ২০১৯ সালে আবী নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।আসমারা সে সময় তাকে টিগ্রায় অঞ্চলে সামরিক সাহায্য দিয়েছিল।
সংঘাত শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ পর ইরিত্রিয়া এবং টিগ্রায় এর বাহিনী প্রথম হিটস্যাটের কাছে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এইচআরডব্লিউ বৃহস্পতিবার বলেছে যে "বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে" তারা জানতে পেরেছে যে ইরিত্রিয়ার সেনারা হিটস্যাট শহরে ৩১ জনকে হত্যা করেছে এবং প্রকৃত সংখ্যা "সম্ভবত উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।"