জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে এই সময়ে যখন এই প্রাণঘাতী ব্যাধিটি দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে তখন এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে কভিড-১৯ টীকার মারাত্মক ঘাটতি শরনার্থী এবং আশ্রয়-প্রার্থীদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এই দেশগুলো শরনার্থী এব আশ্রয় প্রার্থীদের কভিড -১৯ এর টীকার আওতায় আনার সংকল্প ব্যক্ত করেছে তবে সবাইকে দেয়ার মতো পর্যাপ্ত টীকা নেই সুতরাং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোই এই সুবিধা সব শেষে পেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে গত দু মাসে কভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ যাদের মধ্যে ৫ লক্ষেরও বেশি লোক মারা গেছে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই। জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা বলছে যে সব শরনার্থী জনবহুল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে তাদের মধ্যে কভিড ১৯ সংক্রমণের আশংকা সব চেয়ে বেশি।
সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেজ মেহেচিচ বলছেন এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মধ্যে এই সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলছেন প্রায় নয় লক্ষ শরনার্থী এই শিবিরে বাস করছে , যা বিশ্বে সর্বাধিক সংখ্যা। মেহেচিচ বলেন ৩১ শে মে পর্যন্ত দেখা গেছে সেখানে শরনার্থীদের মধ্যে ১,১৮৮ জন নিশ্চিত ভাবেই সংক্রমিত হয়েছে যার অর্ধেকই সংক্রমিত হয়েছে মে মাসে। মেহেচিচ বলেন বাংলাদেশে টীকা সরবরাহের সংকটের কারণে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে একজনকেও এখনও টীকা দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নেপাল, ইরান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালায়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায়ও কভিড ১৯ সংক্রমণের সংখ্যা আশংকা জনক ভাবে বাড়তে দেখেছি।