অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শাটল আটলান্টিস নিয়ে কিছু কথা


শাটল আটলান্টিস নিয়ে কিছু কথা
শাটল আটলান্টিস নিয়ে কিছু কথা

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেইস শাটল আটলান্টিস মাটিতে নামার আগে অধিনায়ক ক্রিস ফের্গেসন বলেন, তারা বাড়িতে ফিরে আসছেন, তাই তারা আনন্দিত। এই দেশের মানুষের জন্যই তারা এই যাত্রা শুরু করেছিলেন, আর অবশেষে তাদের যাত্রা সাফল্যের সাথেই শেষ হয়েছে।

তিরিশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের শাটল আটলান্টিস শেষ বারের মত মাটিতে নামলো। তার সঙ্গে দেশে ফিরে এলেন চারজনের এই দল। ফ্লাইট কম্যান্ডার ক্রিস ফের্গেসন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, তাদের যাত্রা ছিলো অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।

নামার আগে, তাদের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য তাদেরকে ফোন করেছেন দেশ বিদেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা। বৃটিশ ব্যান্ড বীটলসের পল মেকার্টনী তাদেরকে জাগিয়ে অভিনন্দন জানান। আর দলের মহিলা সদস্য স্যান্ডি এডাম্‌সের জন্য গান শোনান বিয়ান্সে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং সারা বিশ্বের মানুষ আটলান্টিসের যাত্রা নিয়ে আনন্দিত। এ নিয়ে তাদের কৌতুহলও অনেক।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা, নাসার এই স্পেইস শাটল তৈরী করে ক্যালিফোর্নিয়ার রকওয়েল ইন্টারন্যাশনাল কম্পানি। ১৯৮৫ সালে তা ফ্লোরিডার জন এফ কেনেডি স্পেইস সেন্টারে পৌঁছে দেয়া হয়। সেই বছরই তা প্রথমবারের মত ওড়ে। তার পর থেকে অনেকবারই আটলান্টিস ব্যাবহার করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্পেইস শাটল, বা আই-এস-এস তৈরী করার জন্য। ২০০৯ সালে এই শাটলে চড়েই সাত জনের এক দল হাবল স্পেইস টেলিস্কোপে পৌঁছোয়। সেখানে তারা পাঁচবার মহাশূন্যে পদযাত্রা করে, ৩৭ ঘন্টা ধরে টেলিস্কোপে নতুন ক্যামেরা, ব্যাটেরি, এসব লাগান।

শাটল আটলান্টিস নিয়ে কিছু কথা
শাটল আটলান্টিস নিয়ে কিছু কথা

আর ২০১০ সালের অক্টবার মাসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে, এই বছরের জুলাই মাসের ১১ তারিখে, তা শেষবারের মত যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শেষ হল বৃহস্পতিবার, জুলাই-এর ২১ তারিখ।

সব মিলিয়ে এই শাটল পুরো পৃথিবী ঘুরেছে চার হাজার ৮০০ বারেরও বেশি। মহাশূন্যে প্রায় ১২ কোটি ৬০ লক্ষ মাইলের চেয়েও বেশি উড়েছে আটলান্টিস।

প্রেসিডেন্ট ওবামা এই শাটল আটলান্টিসের সাফল্য নিয়ে উৎসাহিত। তিনি বলেন, এই যাত্রা এই স্পেইস শাটলের শেষ যাত্রা। আর এর মাধ্যমে একটি নতুন যুগ শুরু হচ্ছে, এখন আরো বেশি মানুষ মহাশূন্যে যাবে এবং মহাশূন্যের রহস্য উদ্‌ঘাটন করার চেষ্টা করবে।

XS
SM
MD
LG