শরণার্থী জীবন কী; এখনও হয়তো বুঝে উঠেনি রোহিঙ্গা শিশুরা।ভাসানচরে যাত্রাকালে জাহাজে খেলছেন শখের খেলনা নিয়ে।বয়স্কদের কাছে হয়তো জীবনের চরম এক অভিজ্ঞতা এই শরণার্থী জীবন।মিয়ানমার থেকে কেবল প্রাণ নিয়ে পালিয়েছিলেন বাংলাদেশে।তবে এবার কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে
যেন সবকিছু নিয়েই পাড়ি জমাচ্ছেন ভাসানচরে।জাহাজে কথা হয় বেশ
কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে। তারা জানান, তারা ভাসানচরে ক্ষেত খামার করবে, মাছ ধরার সুযোগ নেবে।কেউ আবার হাঁসমুরগির খামারে আমার
বেশ আগ্রহী।
ভাসানচরে মানবিক সেবা দিচ্ছেন প্রায় ৩০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।কক্সবাজারের ক্যাম্পের চেয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে ভালো থাকবেন বলে প্রত্যাশাউন্নয়ন কর্মীদের।সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, তারা এখন শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করবেন।প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়
দেয়ার জন্য ভাসানচর দ্বীপটিকে কে প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ধাপে
মঙ্গলবার ভাসানচর স্থানান্তর হলেন ১৮০৪ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে প্রায়
৪ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হল নতুন এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার রিয়াল এডমিরাল মোজাম্মেল হক জানান, শেষ পর্যন্ত এক লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পুর্ণ হবে সেটাই সরকার প্রত্যাশা করেন।একটি ক্যাম্প থেকে স্থানান্তর অন্য আশ্রয়ণে।সাথে একবুক স্বপ্ন।তবে কবে ফিরে যাবে মিয়ানমার? নাকি এরকম ভাসমানই থেকে যাবে রোহিঙ্গা জীবন?—এমন প্রশ্নও রোহিঙ্গাদের মুখে।