অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ছয় মাস বেতন না পেয়ে চীনে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ


বেইজিংয়ে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাস, ১০ই জানুয়ারি, ২০২২, ছবি/নোয়েল সেলিস /এএফপি
বেইজিংয়ে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাস, ১০ই জানুয়ারি, ২০২২, ছবি/নোয়েল সেলিস /এএফপি

চীনে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত তাঁর পরবর্তী তালিবান উত্তরসূরির জন্য আজ সোমবার একটি চমকপ্রদ পদত্যাগ নোট রেখে গিয়েছেন। ওই পদত্যাগ নোটে তিনি প্রকাশ করেন, কর্মকর্তারা গত ছয় মাস ধরে কোনো বেতন পাননি এবং ফোনের উত্তর দেওয়ার জন্য মাত্র একজন অভ্যর্থনাকারীকে রেখে যাওয়া হচ্ছে।

জাভিদ আহমদ কায়েম টুইটারে জানান, গত আগস্টে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর, সেখানে কর্মরতদের দেওয়ার জন্য তাকে দূতাবাসের ব্যাংক হিসাব থেকে কষ্টেসৃষ্টে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছে।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ১ জানুয়ারি দেওয়া ওই নোটে কায়েম উল্লেখ করেন, “যেহেতু আমরা কাবুল থেকে গত ছয় মাস যাবৎ বেতন পাইনি, তাই আর্থিক বিষয়টির সমাধানের জন্য কূটনীতিকদের মধ্য থেকে আমরা একটি কমিটি নিযুক্ত করি”। পত্রটি আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়।

https://twitter.com/JavidQaem/status/1480431455855468547

তারপরও তিনি তার উত্তরসূরির জন্য কিছু অর্থ রেখে গিয়েছেন।ওই নোটে তিনি উল্লেখ করেন, “আজ, ১ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১,০০,০০০ ডলার অবশিষ্ট আছে।”

এরপর তিনি কোথায় যাবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

কায়েম তার ওই নোটে মৃতপ্রায় একটি দূতাবাসের চিত্র তুলে ধরে প্রকাশ করেন, দূতাবাসের পাঁচটি গাড়ির চাবি তিনি তার দপ্তরে রেখে ‍গিয়েছেন এবং অন্য সব কূটনীতিক চলে যাওয়ার পর, অবশিষ্ট একজন মাত্র স্থানীয় কর্মীকে কোনো অনুসন্ধানের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানের অনেক দূতাবাস কূটনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। তালিবানের হাতে উৎখাত হওয়া পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের প্রতি অনুগত কর্মীরা এখনো সেইসব দূতাবাসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

কাবুলের পতনের পর থেকে, বেইজিংয়ে নিয়োজিত আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন কূটনীতিক তাদের পদ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। টুইটটিতে কায়েম লেখেন, তার পদত্যাগ নোটটি “একটি সম্মানজনক দায়িত্বের অবসান”।
(এএফপি)

XS
SM
MD
LG