বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক এক ছাত্রকে ডিপোর্ট করার ওপর তার নিষেধাজ্ঞার আদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। এর ফলে তাকে ডিপোর্ট করার জন্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষের চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হলো। ট্রাম্প প্রশাসন কিছু ফিলিস্তিনিপন্থী কলেজ ছাত্রকে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়ার প্রেক্ষাপটে এটি ঘটলো।
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ জেসি ফারম্যান মাহমুদ খলিলের বহিষ্কার সাময়িকভাবে আটকে দেন। বুধবার তিনি ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে শুনানির পরে লিখিত আদেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করেন যাতে গ্রেপ্তারটি অসাংবিধানিক কিনা তা বিবেচনা করার জন্য আরও সময় পাওয়া যায়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলছে, ৩০ বছর বয়সী খলিলকে একটি আইনি বিধানের অধীনে ডিপোর্ট করা যেতে পারে। রয়টার্সের দেখা একটি নথি অনুসারে, এই বিধানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটিতে যেসকল অভিবাসীর উপস্থিতি তাদের পররাষ্ট্রনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করেন এমন অভিবাসীদের অপসারণ করা যেতে পারে।
নথিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে ডিএইচএস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। খলিলের আইনজীবীরা বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস কর্তৃক ইসরায়েলে হামলার পরে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলার বিরুদ্ধে তার স্পষ্টবাদী অবস্থানের প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার ম্যানহাটনে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনের বাইরে ডিএইচএস এজেন্টরা তাকে গ্রেপ্তার করে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর অধীনে খলিলের বাক-স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়।
ইমিগ্রেশন আদালতগুলো সুরক্ষিত বাক-স্বাধীনতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে সীমারেখা টানতে পারে কি না- এই মামলা সেটির পরীক্ষায় পরিণত হতে পারে।
শত শত বিক্ষোভকারী লোয়ার ম্যানহাটনে আদালতের বাইরে জড়ো হয়ে ‘মাহমুদ খলিলকে মুক্তি দাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং 'ডাউন ডাউন উইথ ডিপোর্টেশন, আপ আপ উইথ লিবারেশন' বলে স্লোগান দেয়।
শুনানিতে সরকারের আইনজীবী ব্র্যান্ডন ওয়াটারম্যান বলেন, খলিলের গ্রেপ্তারের চ্যালেঞ্জ নিউ জার্সিতে বা লুইজিয়ানায় স্থানান্তর করা উচিত। নিউ জার্সিতে তিনি প্রথমে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং তার আইনজীবীরা তার মুক্তি চেয়েছিলেন। তাকে বর্তমানে লুইজিয়ানায় রাখা হয়েছে।